বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক শ্লোগান জয়বাংলা এসেছিল কাজী নজরুলের লেখনি থেকে ॥ ড. শাকিল
স্টাফ রিপোর্টার ॥ রীবন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ^জিৎ ঘোষ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সৃষ্টিশীল দুঃসাহসী। তারা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন পরার্থে। স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে জনগণ ও সমাজের জন্য কাজ করেছেন। তাদের স্বপ্নের যায়গায় সাধারণ মানুষ। কিন্তু বর্তমান সমাজে অধিকাংশ মানুষের মাঝে দেখা যায় আত্মসাত প্রবণতা। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এখান থেকে বের করে আনতে হবে। আর বঙ্গবন্ধু এবং কাজী নজরুলের চেতনা আমাদেরকে বুঝতে হবে এবং ধারণ করতে হবে।
বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের সরকারি বৃন্দাবন কলেজে জাতীয় নজরুল সম্মেলনে ‘নজরুল, বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কাজী নজরুল নারীকে প্রাকৃতিকভাবে নারী হিসাবে দেখেননি। তিনি নারীকে মানুষ হিসাবে দেখেছেন। কিন্তু ২০২০ সালে এসেও সমাজে দেখা যায় অনেকেই তার মেয়েকে সন্তান বলে না। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে নজরুলকে বুঝতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করতে হবে। আমরা যদি মা, মাটি আর মানুষকে ভালবাসতে শিখি তাহলে আর নারীর ক্ষমতায়নের জন্য চিন্তা করতে হবে না। আমি মানুষ এই ছিল নজরুলের মূলমন্ত্র। তিনি বলেছেন ধর্ম থাকে বুকে। আর হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির নেই। নিজের বুক পরিস্কার করতে না পারলে গয়া, মক্কা আর জেরুজালেমে গিয়ে কোন লাভ হবে না।
তিনি বলেন, চুরুলিয়া আর টুঙ্গীপাড়ার মত অজপাড়াগায়ে কাজী নজরুল আর বঙ্গবন্ধুর মত মহীরুহের জন্ম হয়েছে। যে কেউ চেষ্টা করলে এত বড় হতে না পারলেও তাদের মত আদর্শবান হওয়া সম্ভব। তিনি সবাইকে বঙ্গবন্ধু ও কাজী নজরুলের মত মানুষ হওয়ার চেষ্টা করার আহবান জানান।
সভার আরেক আলোচক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, কাজী নজরুলের লেখনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি ছিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর বিভিন্ন লেখনিতে এ কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক শ্লোগান জয়বাংলাও এসেছিল কাজী নজরুলের লেখনি থেকে। উভয়েই জীবনে জেল খেটেছেন নিজের দেশ ও জনগণের জন্য। নজরুল, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি একই সূত্রে গাঁথা।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কাজী নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টাচার্য্য। হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের উপাধ্যক্ষ শাহনাজ পারভীন, বাংলা বিভাগের প্রধান ড. দেওয়ান জামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মর্জিনা আক্তার।
হবিগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ^জিৎ ঘোষ
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com