মিথিলা চৌধুরী হবিগঞ্জ শহরের ডাকঘর এলাকার বাসিন্দা। সে বর্তমানে বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে নৃত্য, চিত্রাংকন, আবৃত্তি, বিতর্ক ও সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সে অসংখ্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অর্ধশতাধিক পুরস্কার লাভ করেছে। তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় মাতৃছায়া কেজি এন্ড হাই স্কুলে। তারপর সে বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণিতে ভর্তি হয়। তার বড় বোন মনীষা চৌধুরীও একজন স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী। বড়বোনের নৃত্য দেখে সে উৎসাহিত হয়। এর পর আস্তে আস্তে সে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পদার্পণ করে। সে গণিত অলিম্পিয়ার্ড জাতীয় পর্যায়ে ১ম রানারআপ হয়েছে। বিতর্কে বিভাগীয় পর্যায়ে রানারআপ হয়েছে। এছাড়াও সে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ঢাকা আয়োজনে চতুর্দশ শিশু কিশোর নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৯-১৯ এ নৃত্যে হবিগঞ্জ জেলার প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজেন অনুষ্ঠিত এক মিনিটের জুনিয়র ভিডিও ওয়ার্কসপে অংশ নিয়ে সে তা থেকে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ১ মিনিটের শর্ট ফিল্ম তৈরী করে প্রশংসা কুড়ায়। বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন সমকাল জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব ২০১৮, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী হবিগঞ্জ আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০১৯ এ কথক নৃত্যে ‘গ’ বিভাগে ১ম, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সিলেট অঞ্চল পর্যায়ে ৩য়, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী হবিগঞ্জ আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০১৯ এ সাধারণ নৃত্যে ১ম, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত উচ্চাঙ্গ নৃত্যে শ্রেষ্ঠ, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শিশু একাডেমী হবিগঞ্জ আয়োজিত লোক নৃত্যে ও মৌসুমী প্রতিযোগিতা ২০১৯ এ উপজেলা পর্যায়ে লোক নৃত্যে ১ম, দলীয় লোক নৃত্যে সদর উপজেলা পর্যায়ে ১ম, উপস্থিত বিতর্কে জেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন করে। এ ছাড়াও সে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক প্রথম আলো গণিত উৎসব, শ্রীকৃষ্ণ মহিমা প্রচার সংঘ, মহানাম সেবক সংঘ, সৎসঙ্গ বাংলাদেশ, জাগ্রত তরুণ সংঘ হবিগঞ্জসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সফলতার স্বাক্ষর রাখে। বর্তমানে সে গৌতম আচার্য্য’র কাছে নৃত্য, অভিমন্য দাশের কাছে সঙ্গীত এবং অসীম বনিকের কাছে চিত্রাংকনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তার অবসর সময় কাটে বই পড়ে। মিথিলার প্রিয় খাবার বিরিয়ানী, প্রিয় ফল আমড়া, প্রিয় ফুল গোলাপ আর প্রিয় রং নীল। আনন্দ উৎসবে সে সাধারণ পোষাক পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তার পিতা সুবিমল চৌধুরী রূপালী ব্যাংক হবিগঞ্জ শাখায় কর্মরত আর মা মাধবী রানী রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মিথিলার দাদু ছিলেন একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। তাই তার পিতা সুবিমল চৌধুরীর ইচ্ছা বড় হয়ে মিথিলাও তার দাদুর মতো একজন স্বনামধন্য আইনজীবী হবে। সে নির্যাতিত অসহায় মানুষকে আইনী সহায়তা দেবে। মিথিলার সে স্বপ্ন সফল ও সার্থক হোক দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পরিবারের পক্ষ থেকে এ শুভ কামনাই রইল।
-মঈন উদ্দিন আহমেদ