স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে চমক দেখিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী। সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁর সাথে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও চৌধুরী আবু বকর ছিদ্দিকী। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলামের নাম ছিল নেতাকর্মীদের মুখে মুখে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের ধারণা ছিল এ দুজন থেকে যে কোন একজন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হতে পারেন। কিন্তু বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলমগীর চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন। আলমগীর চৌধুরীর নাম ঘোষণার সাথে সাথে নেতাকর্মীদের মাঝে তাক লেগে যায়। যাকে অনেকেই চমক হিসেবে দেখছেন।
প্রসঙ্গত, আলমগীর চৌধুরী বৃন্দাবন সরকারি কলেজে ভর্তি হবার পর থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হন। ১৯৮১-৮২ সালে তিনি বৃন্দাবন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৭ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে আলমগীর চৌধুরী বিপুল ভোটে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কাউন্সিলরদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ওই কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পরামর্শে তাকে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়। আলমগীর চৌধুরী ১৯৯১ থেকে ৯৬ পর্যন্ত এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক। প্রতিটি আন্দোলনে তিনি ছিলেন সামনের সাড়িতে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com