মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ হবিগঞ্জ শহরে পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বেড়েছে শুকনো মরিচের ঝাল। গতকাল রবিবার শহরের কোথাও পেঁয়াজের দাম উঠানাম করেনি। গতকাল পাইকারি বিক্রেতাদের দোকানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। আর খুচরা বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে শুরু করে শ্রেণি ভেদে ২৩০ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল আমদানি করা পেঁয়াজের চেয়ে কেজি প্রতি ১০ টাকা বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা ২১০/২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবারও পেঁয়াজের বিক্রয় মূল্য ছিল ২০১/২২০ টাকা কেজি।
হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যকস) সভাপতি মোঃ শামছুল হুদা জানান, গতকাল পাইকারি প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে শুকনো মরিচের দাম। যে মরিচ ৫/৬ মাস আগেও প্রতিকেজির মূল্য ছিল ১৫০/১৬০ টাকা, গতকাল তা বাজারে পাইকারি দরে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ২৭৫/২৮০ টাকা। আর খুচরা প্রায় ৩০০ টাকা। একজন ক্রেতা মরিচ কিনে নিয়ে তা ভাঙ্গানোর পর এ মরিচের দাম গিয়ে ঠেকবে ৩২০ টাকা বা তারও বেশি।
শহরের উমেদনগরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন টিটু জানান, গতকাল রবিবার তিনি স্থানীয় একটি দোকানে পেঁয়াজের দাম জেনেছেন। দোকানি ২২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। যা গত দুই দিন ধরেই চলমান রয়েছে। তিনি ধারণা করছেন পেঁয়াজের দাম আর বাড়বে না।
এদিকে যারা পেঁয়াজের পাইকারী ব্যবসা করেন তারা হঠাৎ করেই ২/৩দিন ধরে পেঁয়াজ আনা বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রসঙ্গত, ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে যায়। এরপর থেকে দাম না কমে প্রায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। যদিও সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিয়ানমার, মিশর, তুরস্কসহ বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রিসহ সারা দেশে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মনে হচ্ছে দেরীতে হলেও সরকারের পদক্ষেপের সুফল আসতে শুরু করেছে।