স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সাবেক এমপি বিএনপি নেতা শেখ সুজাত মিয়ার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। হবিগঞ্জ শহরের আমির চাঁন কমপ্লেক্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল কাশেমের পক্ষে মোহাম্মদ ছোয়াব খান ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত শেখ সুজাত মিয়াকে সমনজারীর আদেশ প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া ও আমির চাঁন কমপ্লেক্সের মালিক আবুল কাশেম দুই জনই নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা এবং উভয়ই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। সেই সুবাদে শেখ সুজাত মিয়া গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ শহরের বদিউজ্জামান খান সড়কস্থ আবুল কাশেমের বাসায় এসে বিশেষ অসুবিধা দেখিয়ে ২০ লাখ টাকা কর্জ দাবি করেন। আবুল কাশেম এতে রাজি হয়ে শেখ সুজাত মিয়াকে নগদ ২০ লাখ টাকা কর্জ প্রদান করেন। কথা থাকে উক্ত টাকা ৫/৬ মাসের মধ্যে শেখ সুজাত মিয়া ফেরত দেবেন। এদিকে কর্জ নেয়া ২০ লাখ টাকার বিপরীতে শেখ সুজাত মিয়া আবুল কাশেমকে চলতি বছরের ৩০ মে নবীগঞ্জ জনতা ব্যাংকে একাউন্ট এর ১০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন যার নং-৩৬৫২৮৪৬ এবং ৩০ জুলাই ১০ লাখ টাকার আরো একটি চেক প্রদান করেন যার নং ৩৬৫২৮৪৭।
এদিকে শেখ সুজাত মিয়া প্রদত্ত ৩৬৫২৮৪৬ নং চেকটি নগদায়নের জন্য গত ৩০ মে তারিখ আবুল কাশেমের হিসাবে ব্র্যাক ব্যাংক হবিগঞ্জ শাখায় জমা দেয়া হয়। ১২ জুন ব্যাংক থেকে জানানো হয় চেক প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য। তখন মামলার বাদী মোহাম্মদ ছোয়াব খান আসামী শেখ সুজাত মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পুনরায় চেকটি ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য বলেন। এ প্রেক্ষিতে গত ২৫ জুন নগদায়নের জন্য চেকটি পুনরায় ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। কিন্তু শেখ সুজাত মিয়ার ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা নেই বলে ৩০ জুন ১০ লাখ টাকার চেকটি ডিজঅনার হয়।
আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ জুলাই শেখ সুজাত মিয়ার প্রতি উকিল নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু শেখ সুজাত মিয়া নবীগঞ্জে অবস্থান করেও তিনি লন্ডনে আছেন বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উকিল নোটিশ গ্রহণ করেননি। এরপর দীর্ঘ এক মাস অতিবাহিত হলেও শেখ সুজাত মিয়া মামলার বাদী বা আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করেননি। ফলে নিরূপায় হয়ে ১৯ আগস্ট সাবেক এমপি আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়ার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন মোহাম্মদ ছোয়াব খান। আদালত উক্ত মামলায় শেখ সুজাত মিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ প্রদান করেন।