হাইওয়ে পুলিশের টহল দেখে আটকের ভয়ে চালক দ্রুত পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে সিএনজিটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে

মোহাম্মাদ শাহ্ আলম ॥ শায়েস্তাগঞ্জের পশ্চিম বড়চরে ট্রেনের ধাক্কায় দুই স্কুুলছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩ জন। রবিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনের পশ্চিম দিকে আউটার সিগন্যালের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো উপজেলার নছরতপুর গ্রামের সিএনজি চালক সেলিম মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (৭) ও শরিফাবাদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মোঃ সামি (৭)। নিহত শিক্ষার্থীরা শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমী এন্ড হাইস্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নছরতপুর থেকে তিন স্কুলছাত্রকে নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা ইসলামী একাডেমিতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পশ্চিম বড়চর নামকস্থানে হাইওয়ে পুলিশের টহল দেখে সিএনজি আটকের ভয়ে চালক দ্রুত সিএনজি ঘুরিয়ে রেলক্রসিং পাড় হয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় সিলেটগামী একটি লোকাল ট্রেন রেলক্রসিংয়ে সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে মুছড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই ২য় শ্রেণীর ছাত্র সোহাগ নিহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত সামিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামি মারা যায়। খবর পেয়ে গ্রামবাসী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিদ্যুতের খুটি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন দুরপাল্লার যাত্রীরা। অবরোধকালে উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, সিএনজিটি স্কুল ছাত্রদের নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে যেতে পারলে এ দুর্ঘটনা ঘটতো না। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান ইমরানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রায় দুই ঘন্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।