স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাত্রী রাণী রায়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিদ্যালয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুুল মন্নাফ খান। এর আগে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও দুদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের টাকা আত্মসাত, বিদ্যালয়ের ৯৬ জোড়া বেঞ্চ বিক্রি, বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ বাসায় ব্যবহার ও প্রায় সময়ই কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর প্রদানের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এলাকাবাসী উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি প্রদান করেন। তার বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক বার অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এমনকি ওই শিক্ষিকার পূর্বের কর্মস্থল থেকেও দুর্নীতির দায়ে এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তাকে চরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন করা হয়।
এদিকে গত বুধবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মন্নাফ খান এবং সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আরিছ মিয়া। তদন্তকালে এলাকার মুরুব্বীয়ানসহ যুব সমাজ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ লিখিতভাবে তুলে ধরেছেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মন্নাফ খান বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বিদ্যালয় পরিদর্শন ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা ও স্থানীয়দের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য শুনেছি। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ রয়েছে সুষ্টুভাবে তদন্ত করে আগামী ২০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।