স্টাফ রিপোর্টার ।। হবিগঞ্জ শহরের দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকায় বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী জনি দাসকে হত্যা ও তার বড় ভাই জীবন দাস জয়কে গুরুতর আহত করার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিহত জনির বাবা নরধন দাস এজাহার দাখিল করেন।
এজাহারে বলা হয়, নরধন দাসের পরিবার দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে জানালায় শব্দ শুনে জনি ও জয় ঘুম থেকে উঠে ‘কে’ ‘কে’ বলেন। এসময় আর কোন শব্দ না হলে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় আবার জানালায় শব্দ হলে জনি দরজা খুলে ঘর থেকে বের হয়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। তার চিৎকারে মা, বড় ভাই ও বাবা বের হয়ে আসেন। এ সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই দুর্বৃত্ত জনিকে ছুরিকাঘাত করে এবং জয়কেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত দুই ভাইকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। জনির শরীরে ছুরির একাধিক আঘাত ছিল। এর মাঝে ডান ও বাম কব্জির ওপর, বুকে ও তলপেটে এবং অন্ডকোষ। জয় দাসের পেটে ও ডান হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
নরধন দাস বলেন, “কারা, কী উদ্দেশ্যে এই নৃশংসতা চালিয়েছে, আমরা জানি না। তদন্তেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।” তিনি খুনিদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এদিকে গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে এলাকাবাসি সদর থানার সামনে বিক্ষোভ করে আসামি গ্রেফতারের দাবিতে। পরে ওসির আশ্বাসে তারা প্রত্যাহার করেন। এ ঘটনার পর থেকে অনেক ছিচকে চোর ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, “লিখিত এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই সফলতা আসবে।” ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোক ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। শহরবাসী জনির হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছেন।