
আমানত ফেরত পেতে কার্যালয়ে শত শত গ্রাহকের ভীড়
আলাউদ্দিন আল রনি, মাধবপুর থেকে ॥ মাধবপুরের তেলিয়াপাড়ায় নিশান স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি’র শত শত আমানকারী তাদের টাকা ফেরত পেতে প্রতিদিনই নিশান কার্যালয়ে ভীড় করছেন। গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। শুক্রবার বিকেলে শত শত গ্রাহক কার্যালয়ের সামনে আমানত ফেরত পেতে ভীড় করলে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ ইসমাঈল তালুকদার রাহীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গ্রাহকদের শান্ত করেন এবং উপজেলা প্রশাসন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া গ্রহণ করার আশ^াস দেন।
অপরদিকে নিশান স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক মঈন উদ্দিন বেলালসহ ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৩৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতে সংস্থার চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন- সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মঈন উদ্দিন বেলাল, ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল জলিল সায়েম (২৮), ডেপুটি ডিরেক্টর সাঈফ আফ্রিদী সালমান (২৫), মাইক্রো ফিন্যান্স ডিরেক্টর মোঃ মাসুদ রানা (৩৫), ডেপুটি ডিরেক্টর আমেনা বেগম (৫২), ম্যানেজার হেড অফিস গোবিন্দ কৈরী (৫২), আরএম জামাল মিয়া (৪৫), এরিয়া ম্যানেজার মোঃ আব্দুল মালেক (৫৫), এরিয়া ম্যানেজার মোঃ হারুন অর রশিদ হারুন (৪৮), এরিয়া ম্যানেজার মোঃ মাইনুল ইসলাম (৩০), বাহুবলের সহ-ব্যবস্থাপক এম এ মান্নান (৩৫), মোঃ মিজানুর রহমান (৪০), ডেপুটি ডিরেক্টর উম্মে জাহান মুন্নী রিপা (২৫), এরিয়া ম্যানেজার জুয়েল গোয়ালা (৩০), সিনিয়র একাউন্টস অফিসার রুমানা আক্তার রুমি (৩৬), খেলা রানী গৌড়ি (৪৫), ইনচার্জ একাউন্টস অফিসার শিল্পী আক্তার (৩৫), সহ শাখা ব্যবস্থাপক সানী কানু (২৬), শাখা ব্যবস্থাপক সুমন কুমার সিংহ (৪৫), সহ-শাখা ব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলাম (৩২), মোঃ ওয়াসিম (৫০), ফিল্ড অফিসার হানিফ ভৌমিক (৩৭), সহ শাখা ব্যবস্থাপক সুব্রত দেব (২৬), ফিল্ড অফিসার গৌতম গোয়ালা (২৫), সাবেক শাখা ম্যানেজার সঞ্জয় সুত্রধর (৩২), সহ শাখা ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম আলম (৩২), ক্যাশিয়ার শিমুল কৈরী (৩০), মিতালী সরকার (২৪), রুমি রানী দেব (২৬), তৌফিক মিয়া (৪০), সিনিয়র ফিল্ড অফিসার সুব্রত কর্মকতার শেখর (৫৫), ফিল্ড অফিসার সমির দাস (২৩), ফিল্ড অফিসার সুবীন মহালী (৩৫), ফিল্ড অফিসার সুহেল মিয়া (৩৫), ফিল্ড অফিসার কামরুল হাসান (৩০)।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- উল্লেখিত ব্যক্তিরা গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৩৩০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে সংস্থায় জমা না দিয়ে নিজেরা ভাগ-বাটোয়ারা করে আতœসাত করেছেন।
এ ব্যাপারে নিশান স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক মঈন উদ্দিন বেলাল বলেন, গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিছু দিনের মধ্যেই ভাল খবর দিতে পারব।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ ইসমাঈল তালুকদার রাহী বলেন- আমি সদ্য যোগদান করে নিশানে কয়েকবার গিয়ে দেখতে পেয়েছি গ্রাহরা আমানত ফেরত না পেলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহেদ বিন কাশেম জানান, গ্রাহকের টাকা ফেরত পেতে প্রশাসন সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।