
হামলার ঘটনায় ২ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর হামলার ঘটনায় ২ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। আটককৃতরা হলো- হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মোঃ নুর আলম চৌধুরী ও মাহমুদাবাদ এলাকার গেদু মিয়ার ছেলে রেজাউল হাসান রাজু। গতকাল শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনাল থেকে বাসযোগে পালানোর সময় বাসের টিকিটসহ জনতা তাদের আটক করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সজল সরকার জানান, স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে খবর দিলে এসআই বিশ^জিৎ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এর আগে শুক্রবার হবিগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে শহরের পুরাতন হাসপাতাল সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তাদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন। আহতদের দাবি, সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজিসহ মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর হামলার ঘটনায় ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক আরিফ তালুকদারের নেতৃত্বে শহরের টাউন হলের সামনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, যদিও জয় বাংলা বলে তাদের উপর হামলা করা হয়েছে, তারা মূলত আওয়ামী লীগ নয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়। তাদের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখার বহিস্কৃত সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক সাকিবের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এনামুল হক সাকিবকে প্রধান আসামি করে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সাকিবসহ অন্যান্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।