নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ লাখাই উপজেলায় সফিকুর রহমান (৫৮) নামে এক লোক প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছে। উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামে (মঙ্গলবার) ১লা এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সফিকুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সফিকুর রহমান নিহত হওয়ার পর তার ছেলে এফতাউর রহমান খোকন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় মুড়িয়াউক গ্রামের মোঃ রফু মিয়া (৪৫) নামে নির্দোষ এক ব্যক্তিকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। সে মুড়িয়াউক গ্রামের মৃত দরবেশ আলীর ছেলে। রফু মিয়াকে মামলার আসামি করার পর থেকে এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ঘটনার সময় রফু মিয়া ওই জায়গায় ছিলেন না। কিন্তু তারা হত্যা মামলার ভয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না। আসামী রফু মিয়ার স্ত্রী জানান, নিহত সফিকুর রহমানের গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তারা দীর্ঘদিন একদল ভুক্ত লোক ছিল। তাদের মধ্যে দুই ভাগ হয়ে এই নিহতের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার সময় আমার স্বামী রফু মিয়া মুড়িয়াউক বাজারে নিজের দোকানে ছিল। আর ঘটনাটি হয়েছে মুড়িয়াউক গ্রামের পূর্বপাশে একটি টং দোকানের ভিতরে। সেখানে আমার স্বামী রফু মিয়া উপস্থিত ছিলেন না। নিহতের পরিবার প্রতিহিংসামূলক আমার স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য মামলার আসামি করেছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমার স্বামীকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় রফু মিয়া মুড়িয়াউক বাজারে তার নিজ দোকানে ছিল। কি কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে সেটাই এখন জনমনে প্রশ্ন? যারা এই পরিকল্পিত হত্যা করেছে তারা এবং নিহত ব্যক্তি একই দলের একই গোষ্ঠীর লোক বলেও তারা জানান।
বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন আছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লাখাই থানার এসআই আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন আমি যাচাই-বাছাই করে সঠিক তদন্ত করব। হত্যার সাথে জড়িতদেরকে চার্জশিটভুক্ত করা হবে। কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে আসামি করা হলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।