যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ ৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন

এসএম সুরুজ আলী ॥ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যকস) এর নির্বাচনে ২টি প্যানেল থেকে ২৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। প্রার্থীরা আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলহাজ¦ মর্তুজা ইমতিয়াজের কাছে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন। এবারের নির্বাচনে ১৭টি পদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ৬টি পদে ৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ৬টি পদে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেই প্রার্থীরা জোরেসুরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের নিজেদের কাছে টানতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করছেন এবং ভোট চাইছেন। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন বিগত দিন যাদের পাশে পেয়েছেন এবার তাদের সমিতির নেতা নির্বাচন করতে চান। নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি মোঃ শামছুল হুদা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীরের প্যানেল থেকে বিভিন্ন পদে ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে শামছুল হুদা সভাপতি ও মোঃ আলমগীর সাধারণ সম্পাদক পদে এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওই প্যানেলের সাথে এবার লড়ছেন সংগঠনের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী শাম্মু ও সংগঠনের আজীবন সদস্য তাহের হোসাইন প্যানেল। তাদের প্যানেল থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে মঈনুদ্দিন আহমেদ শাম্মু সভাপতি ও তাহের হোসাইন সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন।
প্যানেল ছাড়াও বর্তমান কোষাধ্যক্ষ হাজী আব্দুর রহমান সভাপতি পদে ও বর্তমান সহ-সভাপতি মীর একে এম জমিলুন্নবী ফয়সল সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বর্তমান সভাপতি শামছুল হুদা জানিয়েছেন এবারের নির্বাচনটি ভিন্ন। যদিও প্যানেল করা হয়েছে সেটা কোন বিষয় নয়, প্যানেল থেকে বাহিরে গিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। ১৭টি পদের মধ্যে বেশ কয়েকটি পদেই কোন প্রতিদ্বন্দ্বি নেই। তাই অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আমাদের প্যানেলের পক্ষ থেকে আমরা নির্বাচনের পুরো প্রস্তুতি নিয়েছি। এ নির্বাচন নিয়ে কয়েকজন ভোটারের সাথে আলাপ হলে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের স্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ী জীবন সরকার জানান, নির্বাচন আসলেই অনেকেই আমাদের কাছে ভোট নিতে আসেন। নির্বাচন শেষ হলেই তাদের আর পাওয়া যায় না। বিগত বছরগুলোতে যারা আমাদের পাশে ছিলেন আমরা তাদেরকে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করতে চাই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলহাজ¦ মর্তুজা ইমতিয়াজ জানান, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
নির্বাচনে সহ-সভাপতির ১টি পদে শামছুল আলম সাজু, আমিনুল ইসলাম ও মোঃ অলিউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল হেকিম, সাংগঠনিক সম্পাদকের ১টি পদে অলিউর রহমান ও আমিনুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পদে সৈয়দ লুৎফুর রহমান সেকুল, দপ্তর সম্পাদক পদে সৈয়দ রুহেদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে আলাই চৌধুরী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে শেখ কামরুল ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে আব্দুল কাইয়ূম, ৬টি সদস্য পদে জাহেদুল আলম, আজিবুল হক জনি, মোঃ উজ্জল মিয়া, নাজমুল হুদা নিক্স, আব্দাল আহমেদ, শামছুল আলম সাজু ও মামুন আহমেদ মনোননয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, দপ্তর সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তারা এ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।
এদিকে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে নিয়ম বহির্ভূত ভোটার বানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান ও মোঃ রুহুল আমিন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ব্যকসের যে ভোটার তালিকা প্রনয়ন করা হয়েছে, তাতে ভোটার হওয়ার যোগ্য নয়, এমন ব্যক্তিদেরও ভোটার বানানো হয়েছে।