নূরুল ইসলাম মনি, বাহুবল থেকে ॥ বাহুবলে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে উপজেলা সদরের সরকারী-বেসরকারী অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে। এছাড়াও করাঙ্গী নদীসহ পাহাড়ি ছড়ার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর পাকা আউশ ধানের জমি, নতুন করে রোপন করা আমন ধানের জমি ও বীজতলা এবং শাক-সবজির জমি। এতে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ভাদেশ্বর ও বাহুবল উপজেলার করাঙ্গী তীরবর্তী প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে লোকজন পানি বন্দী জীবন-যাপন করছে। বেশ কিছু কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে গেছে এবং বহু ফসলি জমি কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বাহুবল সদরে অবস্থিত বাহুবল আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহুবল সদর ইউপি কার্যালয়, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি), উপজেলা প্রাণীসম্পদ হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, উপজেলা সমাজসেবা অফিস, উপজেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয় ও দীননাথ ইনস্টিটিউশন সাতকাপন সরকারী হাই স্কুলের অভ্যন্তরে বানের পানি প্রবেশ করেছে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এছাড়া সাতকাপন ও পুটিজুরী ইউনিয়নের বেশকিছু পাহাড়ি ছড়াতেও উজানের পানি নেমে বন্যা দেখা দেওয়ায় ছড়ার তীরবর্তী আরো বেশকিছু গ্রামের লোকজনের ফসলী জমিজমা ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে, খরস্রোতা খোয়াই নদীর বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় মিরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের কয়েকটি গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।