কামরুল হাসান ॥ টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় খোয়াই নদের শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্টে পানি ১১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে চরম ঝুঁকিতে আছে শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ।
এর আগে সন্ধ্যা থেকেই উপজেলার আলাপুর এলাকায় ভাঙ্গন আতঙ্ক দেখা দেয় নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে। আতঙ্কে অনেকেই পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেন নদীর বাধে। নদীর বাঁধ উপচে পানি আসার শঙ্কা দেখা দিলে রাত জেগে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি ভর্তি বস্তা দিয়ে মেরামত করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সকাল থেকে আবারো কাজ শুরু করেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আলাপুর ও কলিমনগর এলাকায় শতাধিক পরিবার নদীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা তাবু ও ত্রিপাল টাঙিয়ে পরিবারের শিশু ও নারীদের নিয়ে অবস্থান করছেন সেখানে। তারা জানান, ভাঙন আতঙ্কে তারা নদীর বাধেই রাত কাটিয়েছেন।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার মিতা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত বাধ মেরামতের জন্য ৩ হাজারের উপরে বস্তা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানেও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছাসেবীরা মেরামত কাজ করছেন। বাঁধে যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকে সেল্টার সেন্টারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। এখানে যারা শিশু ও নারী আছেন তাদেরকে সামগ্রিকভাবে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করে তাদের পাশে থাকবো। আমরা চাই সবাই সেইফ থাকুক।