রহমত বরকত ও নাযাতের মাস রমজান
মাহে রমজান সিয়াম সাধনার মাস। নারী-পুরুষ সকলের জন্য এ মাসে পূণ্য অর্জনের অপরিসীম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তবে মহিলাদের খোদা প্রদত্ত কিছু স্থায়ী অসুস্থতার জন্য তাদের নামাজ-রোজায় কিছুটা বিঘœতা সৃষ্টি হয়। নি¤েœ মহিলাদের নামাজ-রোজার কিছু মাস’আলা আলোচনা করা হলো। মহিলাদের ঋতু¯্রাব অবস্থায় নামাজ পড়া ও রোজা রাখা নিষেধ। তবে দু’টোর মাঝে পার্থক্য এতটুকু যে, এমতাবস্থায় নামাজতো একেবারেই মাফ হয়ে যায়। পবিত্র হওয়ার পরেও কা’যা ওয়াজিব নয়। কিন্তু রোজা মাফ হয় না; পবিত্র হওয়ার পর কা’যা আদায় করতে হয়। নেফাস অর্থাৎ বাচ্চা প্রসবের পর যে রজঃ¯্রাব নির্গত হয়, সে সময়ও নামাজ সম্পূর্ণ মাফ, তবে রোজা মাফ নয়, পরবর্তীতে কা’যা করতে হয়। মহিলাদের ইস্তিহাযা (যা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ¯্রাব নির্গত হয়) অবস্থায় নামাজ ও রোজা আদায় করতে হয়। কা’যা করবে না। রোজা রাখা অবস্থায় দিনের বেলায় মাসিক ¯্রাব শুরু হলে, তা যদি অর্ধদিনের পূর্বে অথবা পরে হোক; রোজা ভেঙ্গে যাবে। পরবর্তীতে পাক হওয়ার পর কা’যা করতে হবে। রমজানের দিনের বেলায় মাসিক রজঃ¯্রাব শেষ হয়ে গেলে বাকি দিন রোজাদারের মতো পানাহার বিহীন থাকা ওয়াজিব। কিন্তু এই দিনটা রোজার মধ্যে গণ্য হবে না বরং তার কা’যা রাখতে হবে। দিনের বেলায় নারী-পুরুষের স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গে না। রাতে সহবাস করলে ফজরের পূর্বে ফরজ গোসল আদায় না করলে রোজার কোন সমস্যা নেই। তবে বেশি সময় নাপাক অবস্থায় থাকা ঠিক নয়। রোজা অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী এক সাথে শোয়া, হাত লাগানো, আদর করা সবই বৈধ। তবে যৌবনের উত্তেজনা প্রকাশ পেলে দূরে থাকা জরুরি। গর্ভবতী মহিলাদের বা যে সকল মহিলা বাচ্চাকে দুধ পান করান এমতাবস্থায় অভিজ্ঞ দ্বীনদার ডাক্তার যদি বলে গর্ভস্থ বাচ্চার বা দুধের বাচ্চার ক্ষতি হবে; এমতাবস্থায় ওই মহিলার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে। তবে পরে কা’যা করতে হবে। কোন মহিলার সাথে কেহ জোরপূর্বক সহবাস করলে অথবা অচেতন অবস্থায় কোন মহিলার সাথে সহবাস করলে মহিলার রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং শুধু কা’যা ওয়াজিব হবে; কাফফারা ওয়াজিব হবে না। আর পুরুষের উপর কা’যা ও কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে। ঋতুবর্তী মহিলারা রমজানের দিনে পানাহার করতে পারবে। কিন্তু অন্যান্য লোকদের সামনে খানা খেতে পারবে না।
এছাড়া মহিলাদের আরও অনেক মাস’আলা আছে। প্রয়োজনবোধে উপযুক্ত আলিম থেকে জেনে নেওয়া জরুরি। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের মা-বোনদের রোজা এবং সকল মু’মিন নর-নারীর রোজা ইত্যাদি কবুল করুন। আমীন।