অতিথি সাংবাদিকের কলাম…
লিটন বিন ইসলাম
মানবতার দেয়াল। এখানে এক শ্রেণির মানুষ তাদের অপ্রয়োজনীয় কাপড় রেখে যান। পরে আর এক শ্রেণির মানুষ তাদের প্রয়োজনে সেই কাপড় এখান থেকে নিয়ে যান। হাঁড় কাঁপানো এ শীতে হত দরিদ্র মানুষের যখন কাপড়ের প্রয়োজন, তখন মানবতার দেয়ালে কাপড়ের অভাব দেখা দিয়েছে। সেখান বর্তমানে কোনো কাপড় নেই। এবার এ শীতের মধ্যে দেয়ালটি খালি রয়েছে। এখন দেয়ার চেয়ে নেয়ার প্রয়োজন বেশি হয়ে পড়েছে।
একটা সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানবতার দেয়াল স্থাপন নিয়ে সারা দেশে বিভিন্ন মহলে বেশ সাড়া পড়ে। সাড়া মিলে মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রথমদিকে মানবতার দেয়ালে দেখা যেত পথশিশুদের জন্য বাহারি রংয়ের পোশাক। যত দিন গেল ততোই যেন শূন্য হতে থাকলো মানবতার দেয়াল। মানবতার দেয়াল থাকলেও নেই মানবতা।
১৪ জানুয়ারি সরজমিনে মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত ‘মানবতার দেয়াল’-এ এই চিত্র দেখা গেছে। দেয়ালগুলোতে দেখা গেছে, কাপড়ের হ্যাঙার ঝুলানো থাকলেও নেই কাপড়। কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে মানবতা।
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া রেলস্টেশনের পাশে স্বপ্ন পূরণ সামাজিক সংগঠনের তৈরি মানবতার দেয়াল। সংগঠনের সভাপতির সাথে মানবতার দেয়াল নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, মানবতার দেয়ালটি স্থাপনের সময় সংগঠনের অনেকে সময় দিতে পারতাম। কিন্তু এখন ব্যস্ততার কারণে কেউ সময় দিতে পারি না। তাই এমন অবস্থায় রয়েছে মানবতার দেয়ালটি।