স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের দি জাপান হসপিটালে ডাক্তারের অপচিকিৎসায় রহিমা খাতুন (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত নারী বহুলা গ্রামের মৃত নুর আলীর স্ত্রী।
রহিমার কন্যা হাবিবা আক্তার দিনা জানান, তার মা টিউমার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর তার মাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে তাবির হোসেন নামে এক দালাল তার মাকে নতুন বাস টার্মিনালের দি জাপান হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে যাবার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় রহিমার অবস্থা খুবই খারাপ। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে। ওইদিনই তার অপারেশন করা হয়। এরপর তার অবস্থার আরও অবণতি ঘটে। কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর রহিমা খাতুন কিছুটা সুস্থ হলে ১৩ সেপ্টেম্বর রিলিজ দেয়া হয়। বাড়িতে নিয়ে যাবার পর তার অবস্থার অবনতি ঘটে। অপারেশনের স্থান দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়ে রহিমা খাতুনের জরায়ূর রগ কেটে ফেলা হয়েছে। তাছাড়া তার দুটি টিউমারের বদলে একটি টিউমার অপারেশন করা হয়েছে। আরেকটি রয়ে গেছে। এমনকি তার একটি কিডনিও পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ১৫ অক্টোবর বিকেলের দিকে মারা যান রহিমা।
রহিমার মেয়ে হাবিবা অভিযোগ করেন, তার মা জাপান হসপিটালে ডাক্তারের অপচিকিৎসায় মারা গেছেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।