স্টাফ রিপোর্টার ॥ ড্রেজার মেশিনের পাইপ চুরির মামলায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার অলি মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর মডেল থানার এসআই মোঃ মমিনুল ইসলাম পিপিএম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের সাদকপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অলি মিয়া সৈয়দপুর গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম বিজনা নদী খনন কাজের জন্য আসেন। কিছুদিন খনন কাজ করার পর পানি স্বল্পতার কারণে কাজ বন্ধ থাকে। স্থানীয় মেম্বার অলি মিয়ার সাথে পরিচয়ের সুবাদে রাশেদুল ইসলাম তার ড্রেজার মেশিনটি অলি মিয়ার হেফাজতে রাখেন। পরবর্তীতে রাশেদুল ইসলাম জামালপুরে চলে যান। সেখান থেকে মেম্বারের সাথে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ করলে অলি মিয়া জানান, ড্রেজারসহ এর সকল মালামাল অক্ষত অবস্থায় তার কাছে রয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাশেদুল ইসলাম বিজনা নদীতে গিয়ে দেখেন তার ড্রেজার মেশিনসহ অন্যান্য মালামাল নেই। পরে তিনি ইউপি সদস্য অলি মিয়ার বাড়িতে গিয়ে এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলে মেম্বার তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ প্রেক্ষিতে ২০ সেপ্টেম্বর রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি সদস্য অলি মিয়াকে প্রধান আসামী করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ কুমিল্লার লাকসাম থেকে রিয়াজ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার বাড়ি থেকে ড্রেজার মেশিনের ২০টি পাইপ উদ্ধার করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারকৃত রিয়াজকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাকির হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় রিয়াজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ সময় রিয়াজ আদালতকে জানায়- সে পাইপগুলো ইউপি সদস্য অলি মিয়ার কাছ থেকে ক্রয় করেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে অলি মিয়া পলাতক ছিলেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান, প্রায় ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ড্রেজার মেশিনের পাইপসহ অন্যান্য মালামাল ইউপি সদস্য অলি মিয়া লুকিয়ে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় ড্রেজার মেশিনের মালিক রাশেদুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রিয়াজ নামে এক ব্যক্তিতে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে ২০টি পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। রিয়াজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী ইউপি সদস্য অলি মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।