হবিগঞ্জে সাহিত্য আড্ডায় বিশিষ্ট কবি ও অভিনেতা এবিএম সোহেল রশিদ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ ও অনলাইন গ্রুপস এসোসিয়েশনের সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও অভিনেতা এবিএম সোহেল রশিদ বলেছেন- এক সময় বাংলাদেশের কবিরা অপেক্ষায় থাকতেন কবে কলকাতার পত্রিকায় তাদের কবিতা ছাপা হবে। কলকাতার পত্রিকায় তাদের কবিতা ছাপা হলে আনন্দে উদ্বেলিত হতেন বাংলাদেশের কবিরা। অনেকটা এরকম বলা যায়, কলকাতার পত্রিকায় কবিতা ছাপা হলে বাংলাদেশের কবিরা কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভের আনন্দ পেতেন। আর এখন কলকাতার কবিরা অপেক্ষায় থাকেন বাংলাদেশের পত্রিকায় তাদের কবিতা ছাপা হবে এমন আশায়। বাংলাদেশের পত্রিকায় কবিতা ছাপা হলে তারা এখন আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। এ হিসেবে আমরা এখন বলতে পারি ভারত ও বাংলাদেশের কবিতার রাজধানী হচ্ছে ঢাকা। তিনি বলেন- অনেক কথাও কবিতা। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণও একটি সারা জাগানো কবিতা। কবিরা যা লিখেন তাই কবিতা। তবে অবশ্যই তাকে কবি হতে হবে।
শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে হবিগঞ্জ শহরের প্রিয়জন সাহিত্য পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী ও সাহিত্য আড্ডায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে তিনি বিভিন্ন কবির কবিতা আবৃত্তি করে উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন।
প্রিয়জন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি রুনা আক্তার স্বপ্নার সভাপতিত্বে ও হবিগঞ্জ ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাহিত্যপ্রেমী মোঃ আব্দুল্লাহ’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী। অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কবি টিপু রহমান, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক জুবায়দা গুলশান আরা হেনা, শিশু সংগঠক আপনজন সভাপতি বাদল রায়, কবি মোসলেহ উদ্দিন, কবি আমির হোসেন। এছাড়া বক্তৃতা করেন ও কবিতা আবৃত্তি করেন হবিগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের সেক্রেটারি এম এ ওয়াহিদ, আপনজনের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক তানসেন আমীন, হারুন সিদ্দিকী, বাদল কৃষ্ণ বণিক, মোস্তফা মইন, মনসুর আহমেদ, যোসেফ হাবীব, অপু চৌধুরী, আয়ারল্যান্ড প্রবাসী কবি কামরুন্নাহার রুনু, আব্দুল্লাহ আবীর, ইয়াছিন খান, তানভীর তোয়াহা, তোফায়েল তালুকদার ও মহাথীর মোহাম্মদ প্রমূখ।