স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ। গতকাল সোমবার বিকেলে চুনারুঘাট পৌর শহরের মধ্য বাজারে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। চুনারুঘাট বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম তালুকদার এর সভাপতিত্বে ও তরুণ ব্যবসায়ী সাজিদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর মহালদার, সাবেক পৌর মেয়র নাজিম উদ্দিন সামসু, চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান, শামছুল উলুম কওমি মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা জহুর আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও রানীগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান রিপন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোক্তাদির কৃষান চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল আরমান প্রমূখ। এছাড়া আবুল হোসেন আকল মিয়ার বড় ছেলে নাজমুল হোসেন বকুল আবেগঘন বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তারা বলেন, ‘আবুল হোসেন আকল মিয়া একজন সালিশ বিচারক ছিলেন, তাকে হত্যার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার কার্য সম্পন্ন হয়নি। তার হত্যাকা-ে জড়িত আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাই’।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১ মার্চ ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় দুর্র্বৃত্তরা আবুল হোসেন আকল মিয়ার ওপর হামলা করে এবং হাতুড়ি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম বকুল বাদি হয়ে উপজেলার পৌর শহরের বাল্লা রোডের রবীন্দ্র চন্দ্র পালের ছেলে রঞ্জন চন্দ্র পালকে প্রধান আসামি করে চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ৩০ মার্চ মামলার আসামি জসিম উদ্দিন ওরফে শামীমকে ঢাকার তেজকুনিপাড়ার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর মধ্যে এক আসামি কারাগারে মারা যান। তবে হত্যাকা-ের পর থেকেই প্রধান আসামী রঞ্জন চন্দ্র পাল পলাতক ছিলেন। দীর্ঘদিন পর রঞ্জন পাল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের জন্য আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার আদালতে রিমান্ড শুনানি হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হতে পারে।