নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার লামাতাসি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হাফিজপুর গ্রামের সরকারি এলজিইডি রাস্তার দু’পাশে লাগানো শতাধিক কাঁঠাল গাছের চারার ডাল কেটে দিয়েছেন ইউপি মেম্বার আব্দুল আউয়াল। গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আনুমানিক এক কিলোমিটার জায়গার ওই রাস্তার দুই পাশে লাগানো শতাধিক কাঠাঁলের চারার ডাল এমনভাবে কর্তন করা হয়েছে যা গাছের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই রাস্তার দুপাশে লাগানো কাঁঠালের চারার ডাল গত শনিবার ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়াই নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে কর্তন করিয়েছেন। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে আলাপকালে ৫নং লামাতাসি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ওস্তার মিয়া তালুকদার এ প্রতিনিধিকে জানান, রাস্তার দুই পাশে লাগানো কাঠাঁল গাছের চারার ডাল কে বা কারা কেটেছে তা আমি এখনো জানতে পারিনি। তবে এলাকার অনেকই এ ব্যাপারে আমাকে আমাকে জানিয়েছে। রাস্তার দু’পাশে শতাধিক কাঁঠাল গাছের মগডালসহ অনেক বড় বড় ডাল কাটা হয়েছে। আমি ওই সময়েই বাহুবলের ইউএনও মহোদয়কে অবগত করি। পরে ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে গতকাল রবিবার বাহুবল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং কাঁঠাল গাছের চারার ডালগুলো জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান এ বিষয়টি তিনি বাহুবল উপজেলা এসিল্যান্ড (ভূমি) মহোদয়কেও অবগত করেছেন।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল আউয়ালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ে গাছগুলো রাস্তায় ফেলে দিবে এই ভয়ে ওই কাঠাঁল গাছের চারার ডালগুলো নিজেই শ্রমিক দিয়ে কর্তন করিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আলাপকালে হাফিজপুর গ্রামের আব্দুল হক মিয়া জানান, মেম্বার আব্দুল আউয়াল নিজেই এই গাছের চারাগুলো রোপণ করিয়েছিলেন এবং এগুলো তিনি নিজেই রক্ষণাবেক্ষণ করেন। আগামিতে ভালো ফলন পাওয়ার আশায় উনি শ্রমিক দিয়ে ওই কাঠাঁল গাছের চারার ডালগুলো কর্তন করিয়েছেন। তবে শ্রমিকরা গাছের ডালগুলো পরিমাণের চেয়ে বেশি কেটে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে হাফিজপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান জামাল জানান- গাছের চারার ডালগুলো এমনভাবে কর্তন করা হয়েছে যা এখন শতভাগই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকার লোকজনের মাঝে নানা আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।