পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে কামারগাঁও ॥ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় মকসুদ মিয়া (৫০) নামে আরও একজন মারা গেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাত ১০ টার দিকে দুইপক্ষের লোকজনের মাঝে সৃষ্ট সংঘর্ষে দুইজন নিহত হন। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে সংঘর্ষে নিহত দুই জনের ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামছুল ইসলামসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা ইউসুফ আলী ও ফারুক মিয়ার মাঝে দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের একটি রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে উভয়পক্ষের মাঝে। স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ মাতব্বররা একাধিকবার চেষ্টা করেও উভয়পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারেননি। অবশেষে উভয়পক্ষই পানি নিষ্কাশনের বিরোধপূর্ণ জমির অংশটুকু কিনে নিতে চান। কেউ কাউকে এ বিষয়ে ছাড় দিতে রাজি নয়। স্থানীয় মাতব্বররা বার বার চেষ্টা করেও এর কোনো সুরাহা করতে পারেননি। সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এর জের ধরে শনিবার রাতে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে হাসান আলীর ছেলে উস্তার মিয়া (৩৭) ও চেরাগ আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা ইউসুফ আলী (৩৫) গুরুতর আহত হন। তাদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাছাড়া সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের ঢাকা, সিলেট ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত মকসুদ আলী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় উভয়পক্ষ আবারো সংঘর্ষে জড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খয়ের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকা- নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি।