অনুমোদনহীন টমটম শহরে চলতে দেয়া হবে না ॥ মেয়র সেলিম
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা শহরের দেড় কিলোমিটার প্রধান সড়কের সর্বত্রই মাত্রাতিরিক্ত টমটমের আধিপত্য। অপরিকল্পিত টমটম চলাচল হয়ে উঠেছে শহরবাসীর ‘গলার কাটা’।
স্থানীয়রা জানান, প্রধান সড়কসহ শহরের প্রায় প্রতিটি রাস্তাই এখন টমটমের দখলে। এপাশ-ওপাশ দু’পাশেই টমটম। রাস্তার কোথাও কোথাও চলাচল করছে একাধিক সারিতে। এতে লেগে থাকে যানজট, দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।
জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরে যে সংখ্যক টমটম চলাচলের অনুমোদন রয়েছে বাস্তবে এর চেয়ে অনেক বেশি চলাচল করছে।
সরেজমিনে শহরের কালিবাড়ি এলাকায় দেখা যায়, পুরো সড়ক জুড়ে শত শত টমটমের সারি। দুই সারিতে টমটম থেমে থাকায় হেঁটে চলাও কঠিন। এছাড়াও হবিগঞ্জ শহরের সবুজবাগ, এমএ মোতালিব চত্তর, পুরাতন হাসপাতাল, খোয়াই ব্রিজসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। জেলা শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা চৌধুরী বাজার চৌরাস্তা। এখানে সকাল-সন্ধ্যা যানজট লেগেই থাকে। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত টমটম চলাচল বন্ধ করা এখন শহরবাসীর প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে।
আবার অনেকগুলো টমটম চোরাই বিদ্যুতের চার্জ দিয়ে দিব্যি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হবিগঞ্জ শহর। শীত মৌসুমে হবিগঞ্জ শহরে লোড শেডিংয়ের তেমন একটা প্রভাব না পড়লেও গরমে যার প্রভাব ভালো মতো পড়ছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
অকেজো হয়ে যাওয়া টমটমের ব্যাটারি যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বছর এ রকম হাজার হাজার ব্যাটারির কারণে বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এসব ব্যাটারি চার্জ দিতে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ। দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন অনুমোদনহীন টমটম শহরে চলতে দেয়া হবে না। অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।