স্টাফ রিপোর্টার ॥ কালক্রমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় হবিগঞ্জ পৌরসভার শ্মশানঘাট রোড সংলগ্ন পানি নিষ্কাশনের খাল বর্তমানে অস্থিত্ব¡ হারিয়েছে। শ্মশানঘাট রোডের দক্ষিণ পাশ ঘেষে একসময় পানি নিষ্কাশনের খাল ছিল। খালের দক্ষিণ পাড়ের জমির মালিকগণ তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য খালটি ক্রমান্বয়ে মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলেন। ফলে ওই খালের জমিটি বর্তমানে গাড়ী পার্কিং, দোকানের মালামাল রাখা, ইট-বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী রাখা ইত্যাদি কাজে অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছে একটি মহল। প্রায় ১২ বছর আগে হবিগঞ্জ পৌরসভার তৎকালীন কর্তৃপক্ষ ভরাট হয়ে যাওয়া ওই জমি পৌরসভার আয়বর্ধক প্রকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু পার্শ¦বর্তী জমির মালিকগণের বাঁধা ও মামলা দায়েরের কারণে পৌরসভার মার্কেট নির্মাণের সেই প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। মামলার বাদী ওই খালটি পৌরসভা ভরাট করেছে মর্মে উপস্থাপন করেন। মামলার বাদীর দাবি- পৌরসভা খাল ভরাট করে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত করেছে এবং পরিবেশের ক্ষতি করেছে। প্রকৃতপক্ষে তারাই ওই খাল ভরাট করে বর্তমানে অবৈধভাবে ওই জমি দখল করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। বর্তমানে ভরাট হয়ে যাওয়া রাস্তার পাশে সেই খালের জমিতে গাড়ী পার্কিং, মালামাল লোড-আনলোড, দোকানের মালামাল রাখা, ইট-বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী রাখা ইত্যাদি নানা কাজে অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছে পার্শ্ববর্তী লোকজন। ফলে এই জমিটি যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারছে না হবিগঞ্জ পৌরসভা। তাছাড়া শ্মশানঘাট সংলগ্ন পানি নিষ্কাশনের খালটি কালক্রমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলের পানির নিষ্কাশনও ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পৌরসভা নির্মিত সিডিসি ক্লাস্টার সেন্টার হতে পশ্চিম দিকে শ্মশানঘাট রোড দক্ষিণ সংলগ্ন মূল্যবান জমিটুকু পৌরসভা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারছে না।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক যে হবিগঞ্জ পৌরসভার অনেক জমি বেদখল হয়ে আছে। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর হতে আমার পরিষদকে নিয়ে পৌরসভার সম্পত্তি উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে বেশকিছু সফলতাও এসেছে। তবে পৌরসভার জমি উদ্ধারে আরো অনেক কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, শ্মশানঘাট সংলগ্ন পৌরসভার খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় ওই জমি পৌরসভার কোন কাজে আসছে না। জমিটি অবৈধভাবে একটি মহল দখল করে আছে। আমরা ওই জমিতে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণসহ এটিকে যথাযথ ব্যবহার করতে উদ্যোগ গ্রহণ করবো।