জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বললেন

মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের দুঃস্থ অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ভিজিএফ খাদ্যশস্য (চাল) বিতরণ ও বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। ৭ আগস্ট বুধবার দুপুর ১২টায় শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসব বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর মেয়র মোঃ ছালেক মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার। উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মাসুদ উজ্জামান মাসুক, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ জালাল উদ্দিন মোহন, মোঃ মাখন মিয়া, আব্দুল জলিল, মোঃ আব্দুল গফুর, খায়রুল আলম, মোঃ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ তাহির মিয়া খান, মহিলা কাউন্সিলর তহুরা খাতুন লাইজু, শিউলী বেগম, আছমা আব্দুল্লাহ, পৌর সচিব মোঃ মাহবুব আলম পাটোয়ারী, নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর, হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রদীপ দাশ সাগর, হবিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাকিল চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান রতন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান আল রিয়াদ প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও মানুষের শান্তি চান। সরকারের জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কাউকে না খেয়ে থাকতে হবে না। সরকার ভিজিএফ এর চাল বরাদ্দ দিচ্ছে। প্রকৃত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে এসব চাল বিতরণ করতে হবে। অতিদরিদ্রদের চলার পথ সুগম করতে সরকার বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ভাতা চালু করেছে। ভাল লাগছে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় চাল ও ভাতা বিতরণ করতে এসে। যারা এসব নিতে এসেছেন তারা শান্তিপ্রিয়। তিনি বলেন, সরকার শায়েস্তাগঞ্জবাসীর কল্যাণ চায়। এজন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করছে। পৌর মেয়র ছালেক মিয়া সবাইকে সাথে নিয়ে পৌরবাসীর কল্যাণে কাজ করছেন। তিনি বলেন, হবিগঞ্জ শহরে সরকারী জমি উদ্ধার করা হচ্ছে। শায়েস্তাগঞ্জ শহরে সরকারি জমি চিহ্নিত করুন। দ্রুত উদ্ধার করার ব্যবস্থা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে পৌর মেয়র ছালেক মিয়া তার সাড়ে তিন বছরের দায়িত্ব পালনকালে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সার্বিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, পথচলায় জেলা প্রশাসন ও পৌরবাসীর সহযোগিতা পাচ্ছি।
তিনি বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। সরকার বরাদ্দ দিচ্ছে। এ বরাদ্দ পেয়ে আমি পৌরসভার স্থানে স্থানে উন্নয়নমূলক কাজ করছি। বাকী দিনগুলোতেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। চাই সবার দোয়া ও ভালবাসা।