স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তিতখাই গ্রামে মারামারি মামলার আসামী দুই সরকারি কর্মচারিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীদ্বয় হলেন ওই গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন (৫০) ও তার ভাই জিয়াউর রহমান (৩৫)।
সূত্র জানায়, উল্লেখিত আসামীদ্বয় ও তাদের লোকজন একই গ্রামের মন্নর আলীর পুত্র আব্দুর রউফের বাড়ির পাশ দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরির চেষ্টা করেন। এমনকি তাদের বাড়ির একমাত্র রাস্তা দাবি করে জয়নাল আবেদীন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কার্যবিধি ১৪৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে আদালত সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব কান্তি রুদ্রকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গত ১৪ জুলাই দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। তিনি উপস্থিত লোকজনের সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করে বাদী জয়নাল আবেদিনের মামলায় উল্লেখিত তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং জয়নাল আবেদীনের বাড়ির লোকজনের চলাচলের জন্য বিকল্প আরও দুইটি রাস্তা বিদ্যমান আছে মর্মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তে দেখতে পান। এতে জয়নাল আবেদীন ও তার লোকজন প্রতিপক্ষের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ সময় দাঙ্গা-হাঙ্গামার উপক্রম হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ তলব করেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র জয়নাল ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জয়নাল মিয়ার নেতৃত্বে তার লোকজন আব্দুর রউফ ও তার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়। এ ব্যাপারে আব্দুর রউফ বাদী হয়ে ২৩ জুলাই হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় আদিম উল্লার পুত্র ছাবু মিয়া, ফিরোজ আলীর পুত্র জয়নাল আবেদিন ও জিয়াউর রহমানসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি থানায় এফআইআর হওয়ার পর অধিকাংশ আসামী আদালত থেকে আগাম জামিন নেন। তবে মামলার ২নং আসামী জয়নাল আবেদিন ও ৩নং আসামী জিয়াউর রহমান আত্মগোপন করেন। গতকাল বুধবার ওই দুই আসামী হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com