মনিরুল ইসলাম শামিম ॥ নিরাপদ ও বিশেষায়িত চা তৈরীতে সাফল্য দেখিয়েছেন বাহুবল উপজেলার বৃন্দাবন চা বাগানের ব্যবস্থাপক নাছির উদ্দিন খান। গত ২১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে চা নিলাম কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত নিলামে সর্বোচ্চ মূল্যে গ্রীণ টি ও জিবিওপি টি বিক্রি করে এ সাফল্য দেখান। নিলামে তার নিজস্ব তৈরী গ্রীণ টি প্রতি কেজি ১ হাজার ৬শ’ পঞ্চাশ টাকা ও স্পেশাল জিবিওপি টি প্রতি কেজি ৮শ’ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এমন অভূতপূর্ব সাফল্যে উপজেলা তথা জেলার গন্ডি পেরিয়ে সারাদেশের সকল মহলের ব্যক্তিবর্গের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এতে করে ধ্বংসের পথে যাওয়া চা শিল্পে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে বলে মনে করছেন এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
বিষমুক্ত নিরাপদ চা উৎপাদনের লক্ষ্যে পরিবেশ বান্ধব বালাই দমন প্রযুক্তির একনিষ্ঠ শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে ২০১৮ সাল থেকেই তিনি কাজ করে চলেছেন। গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে বিশেষায়িত চা উৎপাদনের যে ধারা অতি সম্প্রতি কয়েকজন অগ্রগামী টি প্লান্টারের হাত ধরে শুরু হয়েছে তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলঙ্কা কিংবা ভারতের মতো বাংলাদেশের নিরাপদ বিশেষায়িত চা নিকট ভবিষ্যতে সমগ্র বিশ্বে দারুণ সুনাম অর্জন করবে বলে তাদের ধারণা।
এমন অভূতপূর্ব সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বৃন্দাবন চা বাগানের ব্যবস্থাপক নাছির উদ্দিন খান বলেন- আমার তৈরী গ্রীণ টি ও ব্ল্যাক টি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে নিলামে সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হওয়ায় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। এমন সাফল্যে বিষমুক্ত নিরাপদ ও বিশেষায়িত চা তৈরীতে আমার আগ্রহ বেড়ে গেল। ভবিষ্যতে বিশাল আকারে চা তৈরীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও তিনি প্রতিবেদককে জানান।