স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গ উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের গাজীপুর হাওরে ধান রোপন নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন টেটাবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেও আরেকজনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়নি। এক পক্ষ প্রতিপক্ষের বাড়িতে বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, হাওরে বোরো জমিতে ধান রোপনকে কেন্দ্র করে আলাই মিয়া ও নূরুল হকের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে রবিবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সুজাতপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নূরুল হক (৫৫) মারা গেছে বলে প্রচার করে প্রতিপক্ষ আলাই মিয়ার বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এ সময় আলাই মিয়ার পক্ষের লোকজন গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে যায়। তবে আলাই মিয়ার দাবি নূরুল হক স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তার শরীরে কোন ধরণের আঘাতের চিহ্ন ছিল না। টেটাবিদ্ধ অবস্থায় ইদ্রিছ মিয়াকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের ডায়েরী খাতায় ইদ্রিছ মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি লিপিবদ্ধ থাকলেও নূরুল হকের নাম সেখানে নেই। মৃত্যুর ৫ ঘন্টা পর নূরুল হকের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাশ জানান, আহত ইদ্রিছ মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আর নুরুল হককে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, পরিকল্পনা করেই ৫ ঘন্টা পর নূরুল হকের লাশ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি কিভাবে মারা গেছেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। তবে এখনও এ ব্যাপারে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।