বানিয়াচঙ্গ উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা
আক্তার হোসেন আলহাদী ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গ উপজেলার সবচেয়ে দীর্ঘ নদী হচ্ছে রতœা নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৫০ কিলোমিটার। এই নদী একটি উন্মুক্ত নদী হিসেবে তালিকাভূক্ত হওয়ার কারণে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে কখনো নদীটি লীজ প্রদান করা হয় না। উপজেলার ৯নং থেকে ১৫নং ইউনিয়নের কয়েক হাজার মৎস্যজীবী এই নদী থেকে মাছ আহরণ করে জীবন-জীবিকার জন্য ব্যবসা করে থাকেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বানিয়াচং উপজেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ অভিযোগ করে জানান, নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ঘের তৈরি করে সরকারকে রাজস্ব না দিয়ে মাছ আহরণ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এছাড়াও প্রকৃত মৎস্যজীবীদেরকে নদীতে জাল ফেলতে কিংবা মাছ ধরতে নিষেধ করে মাইকিং করেছে ওই চক্রটি। এতে প্রকৃত মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করে হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের শরণাপন্ন হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্মুক্ত নদীটিকে যেন উন্মুক্তই রাখা হয় এজন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ ঘর উচ্ছেদের জন্য অভিযান পরিচালনার কথাও জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তজম্মুল হক চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক, আহাদ মিয়া, ওয়ারিশ উদ্দিন খান, মোঃ রেখাছ মিয়া, আব্দুল কুদ্দুছ শামীম, ওয়ারিশ উদ্দিন খান, শাহ শওকত আরেফীন সেলিম, আনোয়ার হোসেন, এরশাদ আলী, ফজলুর রহমান, রাহেলা বেগম, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মুফতী আতাউর রহমান, বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া ও কাজল চ্যাটার্জী প্রমূখ। এছাড়াও সভায় অন্যান্য নিয়মিত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।