মাস্টার প্ল্যান করে শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার উন্নয়ন করতে চাই
নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি গরীব লোকদের কর্মসংস্থান, আধুনিক শিশু পার্ক স্থাপন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবো
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা একটি মডেল পৌরসভা। আর এ কৃতিত্বের দাবিদার আসন্ন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি দলীয় ধানের শীষের প্রার্থী, সাবেক মেয়র এম এফ আহমেদ অলি। এমনটাই দাবি করলেন সাবেক এই মেয়র। তিনি ৪ বার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২ বার বিজয়ী হয়েছেন। গত নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলেও তার বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির ১ম যুগ্ম আহবায়ক। তিনি দায়িত্ব পালনকালে চেষ্টা করেছেন পৌরবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে। তার প্রতিদানও তিনি পেয়েছেন পৌরবাসীর কাছ থেকে। এজন্য তিনি পৌরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আমি সব সময় চেষ্টা করেছি শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভাকে বৃহত্তর সিলেটের একটি মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করতে। এজন্য দিনরাত কাজ করে গেছি। আর এ ক্ষেত্রে পৌরবাসীও আমাকে সহযোগিতা করেছেন। তাদের সহযোগিতায় অতি অল্প সময়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। স্থানীয় সরকার এ স্বীকৃতি দিয়েছে। তাছাড়া সামাজিক কর্মকান্ড ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তিনি অনবদ্য অবদান রাখায় বিভিন্ন সংস্থা থেকে ১২টি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। এ কৃতিত্ব তিনি পৌরবাসীকে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, আমি আগামীতে পৌরবাসীর সমর্থন পেলে, তাদের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভাকে একটি বাসযোগ্য আধুনিক, পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। মেয়র নির্বাচিত হলে পৌর এলাকার প্রত্যেক ওয়ার্ডে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ মাস্টার প্ল্যান করে এর উন্নয়ন করতে চাই। নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি পৌর এলাকার গরীব লোকদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, আধুনিক শিশু পার্ক স্থাপনসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে চাই। এজন্য তিনি পৌরবাসী সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
সাবেক মেয়র এম এফ আহমেদ অলির পিতা মরহুম হাজী জাহির আহমেদ ময়না মিয়াও ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র। তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি, হবিগঞ্জ দক্ষিণাঞ্চলের বিশিষ্ট মুরুব্বী, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি, জেলা ম্যাক্সি মালিক সমিতির সভাপতি, শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি, হবিগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। ফলে পৌরবাসীও তাকে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেন।
ফরিদ আহমেদ অলির মা হাজী হাজেরা খাতুন ও স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন গৃহিনী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪ সন্তানের পিতা। ২ ছেলে আর ২ মেয়ে। তারা সকলেই লেখাপড়া করছে।
সাবেক মেয়র অলি’র উদ্দেশ্য মানুষের সেবা করা। তিনি বিশ^াস করেন ব্যক্তিগতভাবে একজন মানুষ যা করতে পারে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা হাজার গুণ বেশি করা যায়। তাই তিনি আগামী ২৮ ডিসেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ধানের শীষ প্রতীকে সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও ভোট কামনা করেন।