স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে ইজিবাইক স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যবসায়ী শেখ আব্দুর রশিদ হত্যা মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- উমেদনগর আলগাবাড়ির নিমরাজ মিয়ার ছেলে রিয়াদ হাসান, আরব আলীর ছেলে মিতু ও আব্দুস সালামের ছেলে সায়েম মিয়া। এ তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী। তিনি জানান, সংঘর্ষের দিন উল্লেখিত ৩ আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। প্রথমে তাদেরকে পুলিশ এসল্ট মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে সংঘর্ষে আহত আব্দুর রশিদ মারা যাওয়ায় তার ভাই মখলিছ মিয়া বাদী হয়ে আলগাবাড়ির বাসিন্দা হাজী লুৎফুর রহমান নানু, তার ছেলে জেলা যুবদল নেতা শেখ মামুনুর রশিদ মামুন ওরফে মামুন মিয়াসহ ৩৬জনকে আসামী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলায় উল্লেখিত ৩ জনকে আসামী করা হলে পুলিশ তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখায়। এদিকে ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার খোয়াইমুখ এলাকায় টমটম স্ট্যান্ড দখল নিয়ে পৌর এলাকার উমেদনগর আলগাবাড়ি বনাম পূর্ব এলাকার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষ হলেও পরে নবীগঞ্জ সড়কের মাদ্রাসা এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে একপক্ষ অপর পক্ষের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম পিপিএম ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি মো. মাসুক আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৮ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। সংঘর্ষে শেখ আব্দুর রশিদ, পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আব্দুর রশিদকে সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। ইউসিইউতে ৫ দিন চিকিৎসা শেষে ৬ দিনের মাথায় তিনি মারা যান।