স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বামীকে পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হবিগঞ্জ শহরের উত্তর শ্যামলী এলাকার শাহানা আক্তার সানি নামের এক নারী। গতকাল শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সন্তানদের নিয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজেকে একজন অসহায় নারী উল্লেখ করে বলেন, হবিগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড উত্তর শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা মুন্না মিয়ার স্ত্রী তিনি। তার চারটি ৪টি অবুঝ সন্তান রয়েছে। তার স্বামী মুন্না মিয়া কয়েক বছর আগে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। কিন্তু এ কাজ ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় তিনি এ কাজ না করে ফিসারীতে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিছুদিন আগে ওই নারীর ভাসুর মোঃ আনু মিয়া হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকার বাসিন্দা জনৈক মুর্শেদ আহমেদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি মোটর সাইকেল বন্ধক রাখেন। কিছুদিন আগে রাতের বেলা সদর থানার এসআই জুয়েল সরকার ও সাইদুর রহমানসহ একদল পুলিশ বাসা ঘেরাও করে তার স্বামী মুন্নার খোঁজ করতে থাকে। এ সময় তাদের কাছে স্বামী মুন্নাকে খোঁজার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, শহরে একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। মুর্শেদ মিয়া চুরির বিষয়ে অভিযোগ করেন। পুলিশ মোটর সাইকেল উদ্ধারের জন্য গিয়েছে। পুলিশ মোটর সাইকেলটি থানায় নিয়ে যায় এবং বলে যায় কাগজপত্র নিয়ে থানায় যোগাযোগ করলে মোটর সাইকেলটি ফেরত দেয়া হবে। এর পরের দিন থানায় তার ভাসুর গিয়ে কাগজপত্র প্রদর্শন করলেও উক্ত পুলিশদ্বয় মোটর সাইকেলটি অভিযোগকারী মুর্শেদকে দিয়ে দেন। গত ২৬ নভেম্বর দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের সিনেমা হল এলাকা থেকে রুবেল মিয়া ও বাতেন মিয়া নামের দুই যুবককে ইয়াবাসহ আটক করে সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এসআই উৎসব কর্মকার বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৫। এই মামলায় তার স্বামী মুন্না মিয়াকে ৩নং আসামি করা হয়। যা সঠিক নয় এবং মনগড়া। ওই ঘটনার বিষয়ে তার স্বামী কোনো কিছু জানেন না, কিংবা আটককৃত আসামিদেরওকেও তার স্বামী চিনে না বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। অথচ পুলিশ তার স্বামী ও ভাসুরের শত্রুপক্ষের ইন্ধনে তার স্বামীর নামে মামলা দিয়েছে। ফলে তার স্বামী গ্রেফতারের ভয়ে পলাতক রয়েছেন। জীবিকার জন্য তিনি ফিসারীতো দূরের কথা কোনো কাজকর্মই করতে পারছেন না। সারাক্ষণই তার মনের মধ্যে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট এর প্রতিকার দাবি করেন।