মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরসভার স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে শিক্ষার উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব ॥ জনগণের কল্যাণকে প্রাধান্য দেব
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ দলীয় কোন পদ পদবীর লোভ নয় শুধু হৃদয়ের টানে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেন। যদিও ছাত্র জীবনে ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। পরে আওয়ামী লীগ সমর্থন করলেও রয়েছেন দলীয় পদ পদবীর বাইরে। তিনি হলেন শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ আবুল কাশেম শিবলু। জনসেবার মানসিকতা নিয়ে তিনি এবার এলাকার উন্নয়নে কিছু একটা করতে চান। তাই এবার তিনি পৌরসভার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানান- তিনি কলেজ জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার পিতা ছিলেন ব্যবসায়ী। তাই লেখাপড়া শেষে তিনি ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। তবে হৃদয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করেন। তাই দলীয় কোন পদ পদবী না নিয়ে নিভৃতে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন। অতীতে কোন নির্বাচনে অংশ না নিলেও শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে তিনি প্রথম অংশ নেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে তিনি শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ছোট বেলা থেকেই তিনি নিজের সাধ্য অনুযায়ী মানুষের উপকার করার চেষ্টা করেন। মানুষকে খুশি করার জন্য নয় একমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য নিরবে তিনি মানুষের সেবা করে যান। তিনি প্রচার বিমূখ মানুষ। সম্প্রতি করোনার প্রভাবে পুরো দেশ যখন স্থবির হয়ে পড়ে তখনও তিনি শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ছুটে বেড়ান এবং সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতা করেন। যদিও তা কোন প্রচার মাধ্যমে আসেনি। তিনি বিশ্বাস করেন আল্লাহ তাকে সম্পদ দিয়েছেন মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য, শুধু নিজের জন্য নয়। আর যাকে সহযোগিতা দেয়া হবে তারওতো আত্মসম্মান আছে। সেই দিকটিও বিবেচনায় নিয়ে তিনি নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় এলাকার প্রতিটি মসজিদে নিজের সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, ভবিষ্যতেও করবেন এ আশাবাদ তাঁর।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- অতীতে যারাই নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা কতটুকু এলাকার জন্য করেছেন তা বর্তমান অবস্থা দেখলেই অনুমেয়। যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তৈরী করেন তাদের চাহিদা সম্পাদন করা ওই জনপ্রতিনিধির কাজ হলেও শায়েস্তাগঞ্জে এর ব্যতিক্রম। যারা ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন ওই সকল ভোটার বঞ্চিত। তাই তাদের অধিকার নিশ্চিতে তিনি এবার পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। শেখ হাসিনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে ভোটারদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে তিনি কাজ করতে চান।
আবুল কাশেম শিবলু বলেন- শায়েস্তাগঞ্জ একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। কিন্তু এখনো পৌরসভার অনেক এলাকা ভাটি অঞ্চলের মতো মনে হয়। পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটের অবস্থা শোচনীয়। চলাচলের অনুপযোগী। তিনি পৌরসভার স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করতে চান। তিনি জনগণের রায়ে মেয়র নির্বাচিত হলে শিক্ষার হার বাড়াতে কাজ করবেন। অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিটি ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিবেন এ প্রতিশ্রুতি তিনি ব্যক্ত করেন। তাছাড়া শায়েস্তাগঞ্জের ব্যবসায়ীরা অবহেলিত উল্লেখ করে তিনি নির্বাচিত হলে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন।
মেয়র প্রার্থী আবুল কাশেম শিবলুর পিতা হাজী আব্দুস সাত্তার মুন্সি ব্রিটিশ আর্মি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মীও ছিলেন। চাকুরী জীবন শেষে তিনি ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। ছোটবেলায় পিতার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা শুনে অনুপ্রাণিত হন শিবলু। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে নিরবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেন। তার মা হরফ চান বানু ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিণী। মা বেঁচে থাকলেও তার বাবা বেঁচে নেই। আবুল কাশেম শিবলুর স্ত্রী শামীমা আক্তার একটি হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তার ২ ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে আর ছোট ছেলে ১ম শ্রেণির ছাত্র। কন্যা সন্তানের বয়স মাত্র ৪ বছর।
আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। যদি দল তাকে মনোনয়ন না দেয় তাহলে আওয়ামী পরিবারের অভিভাবকদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে তিনি নির্বাচন করবেন কি না। অভিভাবকরা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে অনুযায়ী তিনি কাজ করবেন।