স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি উপেক্ষা করে ভর্তি কোচিং চালু রাখায় হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার সূর্যমুখী একাডেমিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল রবিবার বিকেলে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। করোনাকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ভর্তি কোচিং চালু রাখায় সূর্যমুখী একাডেমিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা বেগম সাথী। এ সময় কোচিংয়ে উপস্থিত ৪ জন শিক্ষককে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয় এবং মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহামারী করোনাকালীন সময়েও বহুল আলোচিত শিক্ষক বেলাল আহমেদের কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ হয়নি। সরকারি আদেশ উপেক্ষা করেই তিনি গত ৬ মাস ধরে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে প্রাইভেট পড়াতেন। তিনি হবিগঞ্জ শহরের প্রধান দুইটি সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সুযোগ লাভের প্রলোভন দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে উদ্বুদ্ধ করেন। শহরের ঈদগাহ সড়কের সূর্যমুখী আবাসিক এলাকায় কোচিং সেন্টার চালু করে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে গতকাল রবিবার বিকেলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা বেগম সাথী তার কোচিং সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় শিক্ষক বেলাল উপস্থিত ছিলেন না।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com