স্টাফ রিপোর্টার, বানিয়াচং থেকে ॥ বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসনের দুটি কোয়ার্টারে দিনদুপুরে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে এ চুরির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ চোরেরা দরজার তালা ভেঙে কক্ষে ঢুকে ৬টি কক্ষ থেকে নগদ ষাট হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে চোরেরা কক্ষের অন্যান্য জিনিসপত্র নেয়নি। এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুন খন্দকার ও থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, মহুয়া কোয়ার্টারের দুতলায় দুটি ইউনিটের ছয়টি কক্ষে কর্মকর্তারা মেস করে থাকেন। এর পাশের শিমুল কোয়ার্টারে স্বপরিবারে থাকেন উপজেলা পরিষদের সিএ ফয়জুর রহমান খান রুবেল। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে চোরেরা কোয়ার্টারের দরজার তালা কেটে ভেতরে ঢুকে। তখন কর্মকর্তারা নিজ নিজ অফিসে কর্মরত ছিলেন। দুপুরের খাবার খেতে কক্ষে গেলে চুরির আলামত দেখতে পান। চোরেরা সাবরেজিস্টার শংকর ধরের কক্ষ থেকে নগদ ৩০ হাজার, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের নগদ ১৫ হাজার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাফর ইকবাল চৌধুরীর নগদ ৫ হাজার, কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা কাওছার আহমেদের নগদ ৬ হাজার ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প কর্মকর্তা সুদ্বীপের নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
শিমুল কোয়ার্টারে বসবাসকারী উপজেলা পরিষদের সিএ ফয়জুর রহমান রুবেল জানান, তার বাসার অন্যান্য জিনিসপত্র চোরেরা নেয়নি। শুধুমাত্র ৪ ভরি স্বর্ণ চুরি করেছে। কর্মকর্তাদের কক্ষ থেকেও শুধু নগদ অর্থ চুরি করেছে। অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হয়নি।
বানিয়াচং থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছি। ব্যাচেলার কোয়ার্টার। কিছু তছনছ করেনি। চাবি দিয়ে আলমিরার তালা খোলা। তবে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।