স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় মুহতামিম কর্তৃক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা মোতাব্বির মিয়া বাদী হয়ে মাদ্রাসায়ে আনোয়ারে মদিনা ফদ্রখলা মাদ্রসার মুহতামিম মাওলানা নোমান কবীরকে প্রধান আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফুয়াদ বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই নোমান কবীরের মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়েছি।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর রাতে মাদ্রাসার মুহতামিম নোমান কবীর এক ছাত্রকে খেদমতের জন্য তার খাসকামরায় ডাকেন। খেদমতের নামে তিনি ওই ছাত্রকে বলাৎকার করেন। পরদিন সকালে ফদ্রখলা গ্রামের মুরুব্বী শওকত, ছোবান, মর্তুজ আলী নির্যাতিত ছাত্রের বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার রামশ্রী গ্রামে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা চালান। সেখানে ওই পরিবারের কাছে শুক্রবারের মধ্যে মাদ্রাসা থেকে ওই মুহতামিমকে বহিষ্কার করা হবে ও উপযুক্ত বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তারা আশ্বস্থ করেন। ওই বিষয়টি যাতে র‌্যাব পুলিশ কেউ না জানে সে বিষয়েও হুশিয়ারী দেন কয়েকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক জানান, তার রুমে সবসময় ছেলেদের আড্ডা থাকে। মাদ্রাসার সাবেক ছাত্ররাও তার খেদমত করতে মাদ্রাসায় আসে। আমরা ছাত্রদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক না রাখতে নিষেধ করার কারণেই আমাদের বেতন বন্ধ করে দেন মুহতামিম ও তার চাচাত ভাই মাদ্রাসার শিক্ষক আবু সাঈদ মিজবাহ। মুহতামিমের এমন আচরণে কোন শিক্ষক ওই মাদ্রাসায় থাকতে চান না। এ বিষয়ে কথা বললেই শিক্ষকদের উপর চাড়াও হন তিনি।
সাবেক শিক্ষক মাওলানা আফসার উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার পরিচালকের এমন আচরণেই আমিসহ ৪জন চলে এসেছি। ইউনিয়ন অফিসে আমাদের ৪ জন শিক্ষকের মামলা রয়েছে, আমার ৭৪ হাজার টাকা বেতন পাওনা রয়ে গেছে। বাকী শিক্ষকদের মামলা চলছে। রায় পেলেই আমরা আদালতে যাব।
নির্যাতিত ছাত্রের পিতা মোতাব মিয়া বলেন, মাদ্রাসায় নির্যাতিত হয়েছে আমার ছেলে। আর কারও ছেলে যাতে নির্যাতনের শিকার না হয় সেটাই আমার প্রত্যাশা।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা চলছে।