ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুদের রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ হবিগঞ্জে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ৩ লাখ ৫২ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেলার ১ হাজার ৮শ’ ৮৬টি কেন্দ্রে শিশুদের লাল ও নীল রংয়ের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। গতকাল বুধবার সকালে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল হবিগঞ্জের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, জেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪২ হাজার ৪শ’ ২১ জন শিশুকে নীল রংয়ের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ১০ হাজার ৩শ’ ৬৪ জন শিশুকে লাল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। উপজেলার ১ হাজার ৮শ’ ৮৬টি কেন্দ্রে ১৪ দিনব্যাপী স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তাছাড়া ৩৩০ জন স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মী, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ৫২০ জন, ২১৪ জন সিএইচপি এবং ৩ হাজার ৭৭২ জন স্বেচ্ছাসেবক জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়- প্রতিবার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে একটি মহল নানা গুজব সৃষ্টি করে থাকে। তাই কোন প্রকার গুজবে কান না দিয়ে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মুখলিছুর রহমান উজ্জলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির, হাসপাতালের সিনিয়র স্বাস্থ্য অফিসার কলিম উল্লা শিকদারসহ হবিগঞ্জে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন। ধারণা বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ওমর ফারুক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার মায়ের দুধ বিশেষ করে শাল দুধ, ডিম, দুধ, কলিজা, মাছ (বিশেষ করে মলা মাছ), মাংস, মিষ্টি আলু, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক, কচু শাক, পুঁই শাক, পালং শাক, পাকা আম, পাকা পেঁপে, পাকা কাঁঠাল, খেজুর ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব এক শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা। ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা।
৬ মাসের কম বয়সী এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। তাছাড়া যে শিশুকে ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ খাওয়ানো হয়েছে তাকে এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।