যুবদল নেতা কুহিনুরসহ দন্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামী পলাতক
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার নয়াপাথারিয়া গ্রামে ডাবল মার্ডার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৫ আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিবার সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহরিয়ার কবিরের আদালতে হাজির হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণ করার আদেশ দেন। আসামীরা হলেন বানিয়াচং উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের শমছু মিয়া, ইদু মিয়া, সিরাজ মিয়া, কাজল মিয়া ও চান মিয়া। দন্ডপ্রাপ্ত অপর ৫ আসামী কুহিনুর আলম, তারা মিয়া, সুজন মিয়া, নজীর মিয়া, মিজানুর আলম পলাতক রয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১১ সালের ২৮ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে উল্লেখিত আসামীরা সাবেক মেম্বার সাজেল মিয়ার উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সিপাই মিয়া, মর্তুজ আলীসহ স্থানীয় লোকজন তাদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেন। এ সময় আসামীরা তাদের উপরও হামলা চালায়। পরে এ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে সিফাই মিয়া মারা যান। আর গুরুতর আহত মর্তুজ আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দু’দিন পর হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় সিফাই মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় জেলা যুবদল নেতা কুহিনুর আলম, মক্রমপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা তারা মিয়া মেম্বারসহ ৪৮ জনকে আসামী করা হয়। মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। উক্ত আদালত আসামীদের ২০১৩ সালে খালাস দেন। পরবর্তীতে বাদিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করলে আদালত খুন করার অপরাধে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন। এর মাঝে কুহিনুর আলম, তারা মিয়া, সুজন মিয়া, সমছু মিয়া, কাজল মিয়া, সিরাজ মিয়াকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেল এবং ইদু মিয়া, চান মিয়া, নজীর মিয়া ও মিজানুর আলমকে ১০ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে উল্লেখিত ৫ জন আদালতে হাজির হলে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন বিচারক। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মাঝে কুহিনুর আলম, তারা মিয়া, সুজন মিয়া পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মাঝে সমছু মিয়া, কাজল মিয়া ও সিরাজ মিয়া গতকাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। আর ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মাঝে ইদু মিয়া ও চান মিয়া ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।