স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকায় করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্টের বিষয়টি ধরা পড়ার জেরে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের ইতালি প্রবেশে ফ্লাইটের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ফের বেড়েছে। ১লা আগস্টের নোটিশে এটি ২০ দিন কমিয়ে ১০ই আগস্টে আনা হয়েছিল। কিন্তু ডেডলাইনের একদিন আগে ৯ই আগস্ট নতুন নোটিশ জারি করে ইতালির সিভিল এভিয়েশন। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২৭ দিন বাড়িয়ে ৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ পরবর্তী নোটিশ জারি না হলে বা মেয়াদ না কমলে ৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সহ ১৬টি দেশের নাগরিক ইতালি ঢুকতে পারবে না। নতুন নোটিশ জারির মধ্য দিয়ে ১লা আগস্টে জারি করা নোটিশের কার্যকারিতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেল। ১লা আগস্টের নোটিশে ইতালির সিভিল এভিয়েশন ৩১শে আগস্ট থেকে কমিয়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়ে ১০ই আগস্টে এনেছিল। অর্থাৎ ১১ই আগস্ট থেকে বাংলাদেশি সহ অন্যদের ইতালি প্রবেশের দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার আশা করা হয়েছিল।
স্মরণ করা যায়, গত ৬ই জুলাই ইতালির রোমে অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রীর কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার জেরে ঢাকা ফেরত ফ্লাইট ও যাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দেশটি, যা এখনো বলবৎ আছে। করোনা শনাক্ত হওয়া ওই যাত্রীদের কাছে ‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ’ এবং ‘ভ্রমণের জন্য নিরাপদ’ মর্মে জাল কাগজপত্র ছিল। ৮ই জুলাই ১৫১ বাংলাদেশি যাত্রীকে দেশটিতে প্রবেশ করতে দেয়নি ইতালি। বাংলাদেশ থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ট্রানজিট ফ্লাইটে ইতালি যাওয়া ওই যাত্রীদের পুনরায় ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কাতার এয়ারওয়েজের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাংলাদেশ থেকে ইতালিগামী সব ফ্লাইট/যাত্রী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ৮ই জুলাই থেকে শুরু করে ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত যেকোনো দেশের নাগরিক কিংবা যেকোনো দেশ হয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কোনো ফ্লাইট ইতালিতে অবতরণের অনুমতি পাবে না। এর আগে জুনে বাংলাদেশ থেকে চীন, জাপান ও কোরিয়াতে বিশেষ ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সর্বশেষ বাংলাদেশ সহ ৭ দেশের নাগরিকদের সরাসরি কুয়েতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।