স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের আশংকার মধ্যেও টমটমসহ গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এমন সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এ সময় অর্ধশতাধিক টমটম ও মোটর সাইকেলকে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে প্রত্যেক টমটম ও মোটর সাইকেল মালিককে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সূত্র জানায়, করোনার কারণে সরকার গণপরিবহণের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছে এমন অযুহাতে হবিগঞ্জে শুরু হয় অনিয়ম। অভিযোগ উঠেছে অফিস, আদালতসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা খুলে দিলেও গাড়ি ভাড়া কমানো হয়নি। ফলে অতিরিক্ত ভাড়ার চাপ পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর।
এদিকে করোনা ভাইরাসের শুরুতে সব ধরণের যানবাহন বন্ধ থাকলেও রিকশা ও টমটম চলাচল অব্যাহত থাকে। প্রশাসন টমটম মালিক সমিতির সাথে পরামর্শ করে টমটমের ভাড়া ৫টাকা থেকে ১ জুন থেকে ১০ টাকা করে। প্রত্যেক টমটমে ৩ জন করে যাত্রী নেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখা গেছে ভিন্ন। প্রত্যেক টমটমে নেয়া হচ্ছে আগের মতো যাত্রী। তবে শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ছাড়া ছোট্ট হবিগঞ্জ শহরে অনুমোদন ও অনুমোদনবিহীন ৫ হাজারের মতো টমটম চলাচলের কারণে সবসময়ই লেগে থাকে যানজট। দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে করোনা আতংক থাকলেও দেখা যাচ্ছে হবিগঞ্জ শহরবাসীর অন্যতম আতংকের কারণ হচ্ছে শহরের যানজট। আর এর মূল কারণ হলো এসব ইজিবাইকসহ তিন চাকার যানবাহন। টমটমের কারণে শহরে যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই। এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকদের বেপরোয়া চালানো, যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অধিক ভাড়া দাবি করায় প্রায়ই শহরের রাস্তায় বাকবিতন্ডা লেগে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে টমটমসহ অন্যান্য যানবাহনের ডাবল ভাড়া কমানোর দাবি তুলেছেন সচেতন মহল।