স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে নুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়াকে পদ থেকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২) বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের বরাত দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ৯ মে রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক হোসেন মো. আদিল জজ মিয়া স্বাক্ষরিত এক পত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে সরকারী বরাদ্দকৃত চাল বিতরণে অনিয়ম ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়াকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করেন। এর আগে ৮ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফত রানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এবং মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৬ (৫) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। সূত্রে জানা যায়- উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের হেফাজতে থাকা ১৭শ’ কেজি চাল জব্দ করা হয় এবং ৩শ’ কেজির হদিস পাওয়া যায়নি। এছাড়াও টিপসই নিলেও ভিজিডি কর্মসূচির চাল না দিয়ে তা তসরুফ করে নেয়ার অভিযোগেরও সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযানের পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া। ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাত রানা জানান, গত ২-৩ মাস ধরে ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়ম করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া। সুবিধাভোগীদের নাম তালিকায় রয়েছে, তাদের টিপসইও রয়েছে। কিন্তু তারা চাল পায়নি। এছাড়া চলমান করোনা ভাইরাস সংকটে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা। কিন্তু প্রতি বস্তায় তিনি ৯ কেজি করে চাল ঢুকিয়ে রাখেন। এসব চালও বন্টন না করে নিজের হেফাজতে রাখেন। ২ হাজার কেজি চাল ওই ইউনিয়নে বরাদ্দ করা হয়েছিল।