সুমন আহমেদ বিজয়, লাখাই থেকে ॥ রবিবার সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সর্বস্তরের লোকজন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে থাকে লাখাই উপজেলা ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্যবর্তী বেলেশ্বরী বান্নী ও নদীর পূণ্যস্নান স্থলে। ঘড়ির কাটা যখন বাড়তে থাকে তখনই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় বেলশ্বরী বান্নী এলাকা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লোক সমাগম নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও এ ধরনের বান্নিতে লোক সমাগমে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এলাকার সচেতন মহল।
একদিকে বান্নি মেলা অন্যদিকে চলে পূণ্যস্নান। রোববার দুপুরে উপজেলার করাব বেকিটেকা এলাকায় বেলেশ্বরী নামক স্থানে সুতাং নদীতে এ পূণ্যস্নান করেন পূণ্যার্থীরা। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন গিয়ে বান্নি পন্ড করে দেয়। সেই সাথে সীমিত পরিসরে পূণ্যস্নান করতে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় বেলেশ্বরীতে এবারও পূণ্যস্নান ও বারুনী মেলার আয়োজন করা হয়। এতে হাজারো লোকের সমাগম ঘটে। অথচ মরণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মেলা ও পূণ্যস্নান আয়োজন করা হয়।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা কর্মকার বলেন, উপজেলা প্রশাসন তৎপর হওয়ার কারণে এবং পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকার কারণে লোক সমাগম হতে পারেনি। বান্নীতে পসরা সাজিয়ে কোন দোকানপাট বসাতে দেওয়া হয়নি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল ও লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা কর্মকারসহ পুলিশ গিয়ে মেলা ও পূণ্যস্নান বন্ধ করে দিয়েছে।