১১ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ॥ ভিটামিন এ ভরা পেটে খাওয়ানো ভাল
স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১১ জানুয়ারি হবিগঞ্জে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯২ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪৩ হাজার ৫৬৭ জনকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ১৩ হাজার ২২৫ জন শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ এ. কে. এম মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা বলেন। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও সিভিল সার্জন অফিস হবিগঞ্জ বাস্তবায়নে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা কলিম উল্লাহ শিকদার, নিখিল রঞ্জন শর্মাসহ হবিগঞ্জের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ এ. কে. এম মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ১১ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে হবিগঞ্জের ৯টি উপজেলার ইপিআই কেন্দ্রের স্থায়ী ও আউটরিচ সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৬টি। এতে স্বাস্থ্য বিভাগের ৩৩০ জন মাঠকর্মী, ৫২০ জন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী, ২১৪ জন সিএইচসিপিসহ ৩ হাজার ৭৭২ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। ক্যাম্পেইনে ৬ মাসের কম বয়সের বাচ্চা, ৫ বছরের বেশি বয়সের বাচ্চা এবং মারাত্মক অসুস্থ বাচ্চাকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। এছাড়া কোন বাচ্চা ৪ মাস আগে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে থাকলে তাকেও এখন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। খাওয়ালে সমস্যা হতে পারে। ভিটামিন এ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। জন্মের পর পরই নবজাতককে শালদুধসহ মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। পানি, মধু, চিনি বা মিসরির পানি খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন এ অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করে। ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায়। দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া, হাম ও মারাত্মক অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে। ভিটামিন এ ভরা পেটে খাওয়ানো ভাল। এটি শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। ভিটামিন এ খাওয়ালে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ব্যাপক প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com