নবীগঞ্জ উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমনে তিনজন মানুষের কথা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নবীগঞ্জ উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন। তিনি ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর যোগদানের পর থেকেই নবীগঞ্জের দাঙ্গা-হাঙ্গামা, চুরি ডাকাতি ও মিথ্যা মামলার সংখ্যা কমে যায়। তিনি আসার পর সাহসিকতার সাথে বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন। বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করেছেন সততার সাথে। মানুষ তার কাছে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন খুবই কম। অপরাধী গ্রেফতারে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছেন। এক সময় নবীগঞ্জে প্রতিরাতেই চুরি ডাকাতি হতো। ওসি ইকবাল হোসেন যোগদানের পর সেটা বন্ধ হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা ছাড়া চুরি ডাকাতি খুবই কম হচ্ছে। তিনি চাপের কাছে কখনও নতি স্বীকার করেন না। চাপকে মাথায় রেখে সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তাকে আইন-শৃংখলার উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা করছেন হবিগঞ্জের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম-পিপিএম (সেবা) ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার যোগদানের পর তিনি জেলায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও চুরি ডাকাতি এবং ইভটিজিং বন্ধে বিশেষ প্রচারণা করছেন। বিভিন্ন ধরনের লিফলেট, ফেস্টুন, ব্যানার, স্টিকারসহ স্থানীয় পত্রপত্রিকায় লেখনীর মাধ্যমে জনতাকে সচেতন করার জন্য প্রচারণা করছেন। আমাদের নবীগঞ্জের আইন-শৃংখলার উন্নতি ও অপরাধ দমনে এই তিন জনের সমন্বয়ে এই টিমটি অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করায় জনসাধারণ অনেক উপকৃত হচ্ছেন। মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির রিপোর্টে কমে গেছে অপরাধ প্রবণতা। পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে বিরাজ করছে স্বস্থি। নেই কোন বিশেষ চাপ। তাই তদন্ত কর্মকর্তাদের মামলা তদন্তে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে না। তাদের কাছে রাজনৈতিক ভাবে কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছে না। দুর্গা পূজামন্ডপে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা রয়েছেন সক্রিয়। এই তিন জনের সমন্বয় টিমকে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও ক্রাইম বন্ধের জন্য সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানাই। এই টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।
এম.এ আহমদ আজাদ
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক