খুনের পর লাশ গুম করে ফেলতে বাড়ির পাশে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে ঘাতক সুমাইয়া ॥ আদালতে স্বীকারোক্তি
সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাইয়ে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে শাশুড়িকে হত্যার ঘটনায় পুত্রবধূ সুমাইয়া আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সুমাইয়া প্রথমে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও পরে আদালতে খুনের দায় স্বীকার করেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি লাখাই থানায় ফুলজাহান বেগম (৬২) হত্যার ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন এর নির্দেশে দ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামীকে গ্রেফতারে মাঠে নামে লাখাই থানা পুলিশ। অভিযানের এক পর্যায়ে লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের মহিবুল হাসানের স্ত্রী আসামি সুমাইয়া আক্তার (২২) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী সুমাইয়া আক্তার হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরে গতকাল শুক্রবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে সে বিজ্ঞ বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। সুমাইয়া জানায়, সে নিজেই তার শাশুড়ি ফুলজাহান বেগম (৬২) কে বসতঘরে শাড়ি কাপড়ের ডোরা (পাইর) গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ বাড়ির পাশে কচুরিপানাযুক্ত ডোবার নিচে রেখে লাশ গুম করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল খায়ের।