ফুঁসে উঠেছে জনতা
চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলা ব্যকস ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি আলহাজ আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী রঞ্জন চন্দ্র পাল সহ জড়িত সকল আসামির ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে চুনারুঘাট সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ। সোমবার বিকেল ৫ টায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে চুনারুঘাট পৌর শহরের মধ্য বাজার থানা সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন কয়েক হাজার জনতা। মানুষের ভিড়ে পৌর শহরের দু’পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি গ্রেফতারকৃত রঞ্জন পাল সহ জড়িতদের ফাঁসি এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান, পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দীন সামছু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রানিগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা আলী মোজাহিদ চৌধুরী, ব্যকস সভাপতি সালাম তালুকদার, সহ-সভাপতি ছিদ্দকুর রহমান মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোক্তাদির কৃষাণ চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিল্লুল কাদির লস্কর রিমন, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি কারাগারে রয়েছে। রঞ্জন পালের নেতৃত্বেই ব্যবসায়ী নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আবুল হোসেন আকল মিয়াকে হত্যা করে তার পরিবারকে দুর্বল করার উদ্দেশ্য নিয়েই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মসজিদে যাওয়ার পথে এ হত্যাকান্ড ঘটায় সন্ত্রাসীরা। বক্তাগণ গ্রেফতারকৃত আসামির ফাঁসিসহ অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ মার্চ ভোরে চুনারুঘাট শহরের বাল্লা রোড এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যাওয়া পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় আবুল হোসেন আকল মিয়া গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম বকুল ঘটনার পরদিন রঞ্জন চন্দ্র পালকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামি পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর মধ্যে মামলার ২নং আসামি চুনারুঘাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুতুব আলী হবিগঞ্জ কারাগারে মারা গেছেন। মামলার অন্যতম আসামি জসিম উদ্দিন ওরফে শামীমকে ঘটনার পরদিন ঢাকার তেজকুনিপাড়ার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরই মাঝে শামীম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।