স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানের বাংলোতে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অব্যাহত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। শীঘ্রই ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পারবেন বলে আশাবাদী চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় গ্রেফতারকৃত ডাকাত কালা বাবু। তিনি বলেন, কালা ডাকাত আদালতে বলেছে- তারা ৮ জন মিলে বাগানের বাংলার ডাক্তার অনিমেষ গোলদারের বাসায় ডাকাতি করে। পরিকল্পনা মতো শনিবার গভীর রাতে মুখোশ পরে ৬ ডাকাত বাংলোর ভেতরে যায়। কালা এবং সোলাইমান বাইরের জেলার হওয়ায় তারা মুখোশ পরেনি। সোলাইমানের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রথমে দারোয়ান রবি মুন্ডা ও সন্তোষকে জিম্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে বাংলোতে থাকা ডা. অনিমেষ গোলদার (৪৫), স্ত্রী সরমিস্ট কর্মকার ও ৪ বছরের ছেলে অরিত্র গোলদারের মাথায় পিস্তল টেকিয়ে ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। পরে ডাকাতির মালামাল তারা ভাগ করে নেয় বলেও জানায় কালা ডাকাত। আদালতে তিনি তার সব সহযোগীর নামও প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৮ ডাকাতের মধ্যে তিনজন আটক হয়েছে। একজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। অন্যরাও পুলিশের গোয়েন্দা জালে আছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও আটক অপর দুই ডাকাতকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। গত ৪ আগস্ট সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ডাকাত সোলাইমান। ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগে দেউন্দি টি কোম্পানির অপর বাগান লালচান চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের আক্রমণে বাগানের ম্যানেজারসহ তিনজন আহত হন। দেউন্দি চা বাগানে ডাকাতির ঘটনায় ডাক্তার অনিমেষ গোলদার বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
আদালতে ডাকাত কালা বাবুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com