মামলার বাদী ঠিকাদার আক্কাছ মিয়া অভিযোগ করেন আসামীরা তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। শুধু তাই নয়, তার ম্যানেজারকে পিটিয়ে ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁদাবাজি মামলায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিনসহ ৫ আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীরা হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও দ্রুত বিচার আইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রধানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। মামলার যে সকল আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে তাঁরা হলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ তাজ উদ্দিন, একই ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের মৃত খুর্শেদ আলীর পুত্র বাচ্চু মিয়া, মৃত আতর আলীর পুত্র বাবুল মিয়া, মৃত আজগর আলী আবুর পুত্র মানিক মিয়া ও মানিক মিয়ার ভাই তাহির মিয়া। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন। আসামীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন জিতু, অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ও অ্যাডভোকেট আবুল ফজল।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের ঠিকাদার মোঃ আক্কাছ মিয়া বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিনসহ ৯ জনকে আসামী করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (কগ-১) ও দ্রুত বিচার আদালত হবিগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিজামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ তাজ উদ্দিন, একই ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের মৃত খুর্শেদ আলীর পুত্র বাচ্চু মিয়া, মৃত আতর আলীর পুত্র বাবুল মিয়া, মৃত আজগর আলী আবুর পুত্র মানিক মিয়া ও মানিক মিয়ার ভাই তাহির মিয়া, মানিক মিয়ার পুত্র শিপন মিয়া, বাবুল মিয়ার পুত্র ছায়েম মিয়া, মৃত আতর আলীর পুত্র কাউছার মিয়া, মৃত এরশাদ আলীর পুত্র তাজুল ইসলামকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন- তিনি একজন ঠিকাদার। তাছাড়া ব্যবসাও রয়েছে। ঠিকাদারি কাজের জন্য তিনি বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। মামলার আসামীরা তাকে বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। বিষয়টি তিনি হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করলে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য নোটিশ জারি করেন। এতে আসামীরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। গত ৫ জুলাই তিনি তার ম্যানেজার মোঃ কাউছার মিয়াকে সাথে নিয়ে ঠিকাদারি কাজের জন্য সানসাইন ব্রিকস্-এ যান। সেখান থেকে পাওনা ২ লাখ টাকা নিয়ে ফেরার পথে আসামীরা প্রাণনাশক অস্ত্র নিয়ে ম্যানেজারকে ঘেরাও করে ফেলে। ওই সময় আসামীরা তাদেরকে বলে ব্যবসা করতে হলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। নতুবা তারা ব্যবসা করতে দিবে না বলেও জানায়। ওই সময়ে ম্যানেজারকে মারপিট করে তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় নসরতপুর-হবিগঞ্জ বাইপাস সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার লোকজন আতংকিত হয়ে দিগি¦দিক দৌঁড়াতে শুরু করেন। পরে এ ঘটনায় ঠিকাদার মোঃ আক্কাছ মিয়া বাদি হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন।