মেয়েটির চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে বাহুবলের

দুই লম্পটসহ ৩ জনকে ধরে পুলিশে দেয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিলেটে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে আলোচিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা যখন গোটা দেশজুড়ে আলোড়ন চলছে ঠিক সেই সময়েই সিলেটের বাদামবাগিচা এলাকায় ১২ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে একদল লম্পট। এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় যেমন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের এক ধর্ষক রয়েছে, তেমনি ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায়ও হবিগঞ্জের দুই লম্পট রয়েছে। লম্পটদ্বয় হলো- বাহুবল উপজেলার অমৃতা গ্রামের মুশাহিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল মোতালিব (২২) ও একই উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আছদ্দর মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া (২৪)।
পুলিশ জানায়, সিলেট নগরীর বাদামবাগিচা এলাকায় আসামীরা বাদামবাগিচা এলাকার ওই মেয়ের কাছে খাওয়ার পানি চায়। তখন মেয়েটি বাসার ভিতর থেকে তাদের জন্য পানি নিয়ে আসলে পাভেল আহমদসহ অন্যান্য অপরাধীরা মেয়েটির হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে বসতঘরের পেছনে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে পাভেল আহমদসহ তিনজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করলেও জহিরুল নামের আরেক আসামী পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে পাভেল আহমদ (২৫), হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার অমৃতা গ্রামের মুশাহিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল মোতালিব (২২) ও একই উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আছদ্দর মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া (২৪)। এছাড়াও পলাতক জহিরুল (২০) বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার জানান, স্কুল পড়ুয়া এক মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।