কাজী মাহমুদুল হক সুজন ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানা চত্বরে পতিত জমিতে সবজি চাষ করে চাহিদা মেটাচ্ছেন সেখানকার পুলিশ সদস্যরা। থানার সামনে ও পিছনে সদ্য বিদায়ী ওসি শেখ নাজমুল হক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেন বিভিন্ন সবজির বাগান। এমন উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অন্য পুলিশ সদস্যরা। বুধবার দুপুরে এ প্রতিনিধিকে ওসি (তদন্ত) চম্পক ধাম বলেন, “পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে থানার সেকেন্ড অফিসার অলক বড়ুয়াসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা ক্ষেত পরিচর্যা করেন। প্রায় দেড় বিঘা জমিতে ১৫ ধরনের শাক-সবজি রয়েছে। বিষমুক্ত এবং সতেজ এসব শাক-সবজি দিয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা সবজির চাহিদা মেটাচ্ছেন। সবজি ছাড়াও থানায় রয়েছে কয়েক প্রজাতির পেয়ারাসহ নানান ফলদ গাছ। এগুলো পুলিশের পাশে থেকে পরিচর্যা করছেন সংবাদকর্মী ওয়াহিদুল ইসলাম জিতু। সবজির বাগানে গিয়ে দেখা গেছে সিম, চাল কুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, ঢেঁড়শ, করলা, পাটশাক, লাল শাক, পুইশাক, শসাসহ প্রায় ১৫ রকমের সবজি রয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) চম্পক দাম বলেন, “এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি না থাকে, প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পর হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যার অনুপ্রেরণায় থানার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বসজি বাগানটি গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি চাষ করা সবজির পরিচর্যাও করে থাকি আমরা। মূলত থানার পতিত জমিকে সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য সবজির চাষকে বেছে নেওয়া হয়।
এছাড়াও চাষ করা বিষমুক্ত সবজি পুলিশ সদস্যদের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করছে। যখন যে সুযোগ পাচ্ছি ঠিক তখনই এই সবজির বাগানের পরিচর্যায় সময় দিচ্ছি। সঠিকভাবে পরিচর্যা করার কারণে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি পরে সবাইকে বন্টন করে দেওয়া হয়। এসব সবজি চাষের ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জালাল উদ্দিন সরকার জানান, “পুলিশের এই উদ্যোগ একটি দৃষ্টান্ত। আমাদের পক্ষ থেকে সবজির রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়। থানায় সমন্বিত বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এলাকার কৃষিজীবী জনগোষ্ঠী। থানায় এ ধরণের কৃষি উদ্যোগ বেশ সাড়া জাগিয়েছে।